ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হিজাব খুলতে হচ্ছে: ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় ৩৩০ জনের মৃত্যু, ৩ শতাধিক গর্ভপাত ঈদযাত্রা নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ঈদের আগে বোনাসের সুখবর পেলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মানবিক করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি, হবেও না: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সর্বশেষ অবস্থান জানালো প্রেস উইং শিক্ষিত বেকারত্বে উদ্বেগ, সমাধানে দক্ষতা ও মানসিকতা বদলের তাগিদ ডিএনসিসিতে কাজ না পেয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সার্ভারে ত্রুটি, ৫ ঘণ্টা শুল্কায়ন বন্ধ

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিস্টেম সার্ভারে ত্রুটির কারণে প্রায় ৫ ঘণ্টা শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যথাসময়ে শুল্কায়ন করতে না পারায় পণ্য খালাস কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলম বিরতির কারণে কাস্টম হাউস এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলন শেষে খোলার দিন শুরু হয়েছে সার্ভার বিড়ম্বনা। আমদানি–রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের দাবি, গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। ফলে পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

 

কাস্টমসের সেবাগ্রহীতারা বলছেন, সার্ভার ত্রুটির এই সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে। এ বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান মিলেনি। প্রায় সময় সার্ভার হ্যাং করে ও নেটওয়ার্ক চলে যায়। এতে আমদানিকারকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।

 

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। এক সময় অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস ভার্সন থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝে সার্ভারের গতি কমে যাওয়া কিংবা বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দেখা গেছে, যে কাজ এক মিনিটে হওয়ার কথা সেটি করতে পাঁচ মিনিট লাগছে। কাস্টমসে আমদানি–রপ্তানি মিলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পর্যন্ত বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রিগ্যান আজাদীকে বলেন, সার্ভারের সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানানোর পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। কিছুদিন পরপর সার্ভারের ত্রুটির কারণে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আজ (গতকাল) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সার্ভার ত্রুটির কারণে কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ ছিল।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের আইসিটি শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যার কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। দুপুরের পরে সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে।

জনপ্রিয়

ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সার্ভারে ত্রুটি, ৫ ঘণ্টা শুল্কায়ন বন্ধ

প্রকাশিত: ৭ ঘন্টা আগে

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিস্টেম সার্ভারে ত্রুটির কারণে প্রায় ৫ ঘণ্টা শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যথাসময়ে শুল্কায়ন করতে না পারায় পণ্য খালাস কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলম বিরতির কারণে কাস্টম হাউস এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলন শেষে খোলার দিন শুরু হয়েছে সার্ভার বিড়ম্বনা। আমদানি–রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের দাবি, গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। ফলে পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

 

কাস্টমসের সেবাগ্রহীতারা বলছেন, সার্ভার ত্রুটির এই সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে। এ বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান মিলেনি। প্রায় সময় সার্ভার হ্যাং করে ও নেটওয়ার্ক চলে যায়। এতে আমদানিকারকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।

 

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। এক সময় অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস ভার্সন থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝে সার্ভারের গতি কমে যাওয়া কিংবা বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দেখা গেছে, যে কাজ এক মিনিটে হওয়ার কথা সেটি করতে পাঁচ মিনিট লাগছে। কাস্টমসে আমদানি–রপ্তানি মিলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পর্যন্ত বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রিগ্যান আজাদীকে বলেন, সার্ভারের সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানানোর পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। কিছুদিন পরপর সার্ভারের ত্রুটির কারণে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আজ (গতকাল) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সার্ভার ত্রুটির কারণে কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ ছিল।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের আইসিটি শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যার কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। দুপুরের পরে সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে।