বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে সিলেটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘চা প্রদর্শনী’। এতে দেশের বিভিন্ন চা বাগান মালিক, উদ্যোক্তা ও রফতানিকারকরা অংশ নেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় চীনের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আয়োজক ছিল শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের চাইনিজ কর্নার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চা বিনিময়ের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। গবেষণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের চা শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারসহ নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাইনিজ কর্নারের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপিং।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের মাওলানা খাইরুল হোসেন ও টি অ্যাসোসিয়েশনের তাহসীন আহমেদ চৌধুরী।
চীনের চায়ের ইতিহাস ও প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে বক্তব্য দেন ইয়াং হুই, জং কিয়ানআন ও লি ইয়াংসি। বাংলাদেশের চা শিল্প নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ ও সাংবাদিক সালাউদ্দিন বাবলু।
স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান ও অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, চা উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি এবং চা শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।