গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) তার বিরুদ্ধে নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলেছে। তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
বুধবার (২১ মে) ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ মে নুরুল হক নুর তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে ফোন করে চাপ প্রয়োগ করেন। ব্যর্থ হয়ে ডিএনসিসির অফিসে তালা লাগানোর হুমকিও দেন। এরপর তিনি ও তার অনুসারীরা ডিএনসিসির কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।
জবাবে গণঅধিকার পরিষদ এক পাল্টা বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরিরের সদস্য এবং ২০১৫ সালে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার হয়েছিলেন—যার প্রমাণ রয়েছে আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের একটি ফেসবুক পোস্টে। তাই তাকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে সংগঠনটি ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামসহ নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
সংগঠনটির আরও দাবি, কমিশন ছাড়া কাজ না দেয়ায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও তাদের এক সদস্য কাজ পাচ্ছেন না। প্রশাসক এজাজ নিজেই প্রকৌশলীকে অবহিত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানানো হয়।
গণঅধিকার পরিষদ বলছে, প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিজ দায়িত্বে ব্যর্থ হয়ে অন্যদিকে জনদৃষ্টি ঘোরাতে নুরুল হক নুরকে টার্গেট করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়াচ্ছেন।