ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হিজাব খুলতে হচ্ছে: ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় ৩৩০ জনের মৃত্যু, ৩ শতাধিক গর্ভপাত ঈদযাত্রা নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ঈদের আগে বোনাসের সুখবর পেলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মানবিক করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি, হবেও না: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সর্বশেষ অবস্থান জানালো প্রেস উইং শিক্ষিত বেকারত্বে উদ্বেগ, সমাধানে দক্ষতা ও মানসিকতা বদলের তাগিদ ডিএনসিসিতে কাজ না পেয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন এবং যানজটমুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির পশুবাহী গাড়িগুলো মহাসড়কের বাম পাশ দিয়ে চলবে এবং মহাসড়কের ওপর বা পাশে চিহ্নিত ২১৭টি স্থানে কোনো পশুর হাট ইজারা দেওয়া হবে না। পশুর হাটের প্রবেশমুখ হবে সড়কের বিপরীতে।

 

পশুবাহী ট্রাকের সম্মুখে ব্যানার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে এবং এসব ট্রাকে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত সরাতে রেকার প্রস্তুত রাখা হবে।

 

চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থ্রি-হুইলার, নসিমন-করিমনের মতো যানবাহন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলতে পারবে না।

 

ফিটনেসবিহীন ও ক্রুটিপূর্ণ গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে ঈদের দশ দিন আগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। জাতীয় মহাসড়কের সংস্কারকাজ ঈদের সাত দিন আগে শেষ করতে হবে এবং ঈদের সময় চলমান উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকবে।

 

১৪৯টি চিহ্নিত যানজটপ্রবণ এলাকায় মনিটরিং টিম গঠন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, টোলপ্লাজা যানজটমুক্ত রাখা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিআরটিসি বিভিন্ন জেলায় স্পেশাল ঈদ সার্ভিস চালাবে। ঈদের বন্ধে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে, তবে পশুবাহী ও জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

 

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পকারখানার শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দিয়ে চাপ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। গুরুতর দুর্ঘটনায় ৯৯৯-এ কল করে জরুরি চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাওয়া যাবে।

 

ফিলিং স্টেশন ঈদের আগে সাত দিন ও পরে পাঁচ দিন খোলা থাকবে। পর্যাপ্ত ফেরি ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে, যেখানে ফোকাল পারসনের তথ্যও জানানো হবে।

 

গরুর হাটের নির্দিষ্ট ম্যাপ ও সীমানা অনুযায়ী ইজারা দেওয়া হবে এবং বিক্রির জন্য হাটে আলাদা জায়গা রাখা হবে। নিরাপত্তার জন্য ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থায় কর্মী এবং মোবাইল কোর্টসহ পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।

জনপ্রিয়

ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন এবং যানজটমুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির পশুবাহী গাড়িগুলো মহাসড়কের বাম পাশ দিয়ে চলবে এবং মহাসড়কের ওপর বা পাশে চিহ্নিত ২১৭টি স্থানে কোনো পশুর হাট ইজারা দেওয়া হবে না। পশুর হাটের প্রবেশমুখ হবে সড়কের বিপরীতে।

 

পশুবাহী ট্রাকের সম্মুখে ব্যানার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে এবং এসব ট্রাকে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত সরাতে রেকার প্রস্তুত রাখা হবে।

 

চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থ্রি-হুইলার, নসিমন-করিমনের মতো যানবাহন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলতে পারবে না।

 

ফিটনেসবিহীন ও ক্রুটিপূর্ণ গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে ঈদের দশ দিন আগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। জাতীয় মহাসড়কের সংস্কারকাজ ঈদের সাত দিন আগে শেষ করতে হবে এবং ঈদের সময় চলমান উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকবে।

 

১৪৯টি চিহ্নিত যানজটপ্রবণ এলাকায় মনিটরিং টিম গঠন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, টোলপ্লাজা যানজটমুক্ত রাখা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিআরটিসি বিভিন্ন জেলায় স্পেশাল ঈদ সার্ভিস চালাবে। ঈদের বন্ধে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে, তবে পশুবাহী ও জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

 

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পকারখানার শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দিয়ে চাপ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। গুরুতর দুর্ঘটনায় ৯৯৯-এ কল করে জরুরি চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাওয়া যাবে।

 

ফিলিং স্টেশন ঈদের আগে সাত দিন ও পরে পাঁচ দিন খোলা থাকবে। পর্যাপ্ত ফেরি ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে, যেখানে ফোকাল পারসনের তথ্যও জানানো হবে।

 

গরুর হাটের নির্দিষ্ট ম্যাপ ও সীমানা অনুযায়ী ইজারা দেওয়া হবে এবং বিক্রির জন্য হাটে আলাদা জায়গা রাখা হবে। নিরাপত্তার জন্য ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থায় কর্মী এবং মোবাইল কোর্টসহ পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।