ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

বাতিল হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার দীর্ঘকালীন বিধান

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার দীর্ঘকালীন বিধান বাতিল হতে যাচ্ছে। মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের জয়ী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন প্রশাসনের অধীনে এই নীতি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশী ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করেছে।

৮ নভেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী কোনো শিশুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, যদি তার পিতা বা মাতার কেউই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অথবা বৈধভাবে বসবাসের অনুমোদনপ্রাপ্ত না হন। অর্থাৎ, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্মলাভ করলেই শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাবে না। এর পরিবর্তে, পিতামাতার বৈধ নাগরিকত্ব বা বসবাসের অনুমতি থাকতে হবে।

এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, দেশটিতে জন্মগ্রহণকারী সব শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু এখন, নির্বাচিত প্রশাসন জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারি থেকে এই বিধান কার্যকর হবে। এর ফলে, অভিবাসীদের জন্য দেশটিতে নাগরিকত্বের একটি সহজ পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনজীবীরা এ পদক্ষেপকে মার্কিন সংবিধানবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, ট্রাম্পের ঘোষণাটি ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন করবে এবং এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হতে পারে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০২২ সালের শুমারির তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে লক্ষাধিক বৈধ-অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছেন, যার মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি। তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশটিতে জন্মগ্রহণকারী সন্তানদের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করা।

নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে, অভিবাসী পরিবারগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠবে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করছে, তাদের সন্তানদের নাগরিকত্ব অর্জন বা গ্রিনকার্ড প্রাপ্তির সম্ভাবনা কমে যাবে।

এটি দেশটির অভিবাসন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় পরিবর্তন এবং অভিবাসনপ্রত্যাশী পরিবারের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

বাতিল হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার দীর্ঘকালীন বিধান

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার দীর্ঘকালীন বিধান বাতিল হতে যাচ্ছে। মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের জয়ী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন প্রশাসনের অধীনে এই নীতি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশী ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করেছে।

৮ নভেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী কোনো শিশুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, যদি তার পিতা বা মাতার কেউই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অথবা বৈধভাবে বসবাসের অনুমোদনপ্রাপ্ত না হন। অর্থাৎ, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্মলাভ করলেই শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাবে না। এর পরিবর্তে, পিতামাতার বৈধ নাগরিকত্ব বা বসবাসের অনুমতি থাকতে হবে।

এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, দেশটিতে জন্মগ্রহণকারী সব শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু এখন, নির্বাচিত প্রশাসন জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারি থেকে এই বিধান কার্যকর হবে। এর ফলে, অভিবাসীদের জন্য দেশটিতে নাগরিকত্বের একটি সহজ পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনজীবীরা এ পদক্ষেপকে মার্কিন সংবিধানবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, ট্রাম্পের ঘোষণাটি ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন করবে এবং এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হতে পারে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০২২ সালের শুমারির তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে লক্ষাধিক বৈধ-অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছেন, যার মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি। তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশটিতে জন্মগ্রহণকারী সন্তানদের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করা।

নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে, অভিবাসী পরিবারগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠবে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করছে, তাদের সন্তানদের নাগরিকত্ব অর্জন বা গ্রিনকার্ড প্রাপ্তির সম্ভাবনা কমে যাবে।

এটি দেশটির অভিবাসন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় পরিবর্তন এবং অভিবাসনপ্রত্যাশী পরিবারের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে।