ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি

পাকিস্তানের ৮৫তম দিবসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মরণোত্তর ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ সম্মাননা প্রদান

পাকিস্তানের ৮৫তম দিবসে, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ মরণোত্তর প্রদান করা হয়েছে। ২৩ মার্চ, রোববার, প্রেসিডেন্ট হাউসে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ভুট্টোর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তার পরিবার ও দেশবাসীকে সম্মানিত করা হয়।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, এই অনুষ্ঠানে ভুট্টোর কন্যা সানাম ভুট্টোর হাতে সম্মাননাটি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার নাতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, নাতনি আসিফা ভুট্টো, সিনেট চেয়ারম্যান ইউসুফ রাজা গিলানি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সংকটময় সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ১৯৭৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৯ সালে একটি বিতর্কিত হত্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি তার প্রথম মেয়াদে ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন, এবং গত বছর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, ভুট্টোকে ন্যায্য বিচারের সুযোগ না দিয়েই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ সম্মাননা প্রদান পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। বর্তমানে, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি তার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য এবং তার দাদা ভুট্টোর উত্তরাধিকারকে সামনে এনে দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছেন।

এই সম্মাননা পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে, বিশেষ করে সামরিক ও বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে। এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের বর্তমান রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

জনপ্রিয়

রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

পাকিস্তানের ৮৫তম দিবসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মরণোত্তর ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত: ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

পাকিস্তানের ৮৫তম দিবসে, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ মরণোত্তর প্রদান করা হয়েছে। ২৩ মার্চ, রোববার, প্রেসিডেন্ট হাউসে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ভুট্টোর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তার পরিবার ও দেশবাসীকে সম্মানিত করা হয়।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, এই অনুষ্ঠানে ভুট্টোর কন্যা সানাম ভুট্টোর হাতে সম্মাননাটি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার নাতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, নাতনি আসিফা ভুট্টো, সিনেট চেয়ারম্যান ইউসুফ রাজা গিলানি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সংকটময় সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ১৯৭৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৯ সালে একটি বিতর্কিত হত্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি তার প্রথম মেয়াদে ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন, এবং গত বছর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, ভুট্টোকে ন্যায্য বিচারের সুযোগ না দিয়েই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ সম্মাননা প্রদান পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। বর্তমানে, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি তার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য এবং তার দাদা ভুট্টোর উত্তরাধিকারকে সামনে এনে দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছেন।

এই সম্মাননা পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে, বিশেষ করে সামরিক ও বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে। এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের বর্তমান রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।