ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে পর্যটন খাতে দৃষ্টিনন্দন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ এপ্রিল প্রদেশটির তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন বৃদ্ধির এই ধারা এসেছে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, পর্যটকদের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরির মাধ্যমে।

‘আফগান ট্যুর’-এর প্রধান ওয়াকিল আহমাদ জাহিদমাল জানান, হেরাতের হোটেলগুলোর নাম যেমন আন্তর্জাতিক, তেমনি সেবাও আন্তর্জাতিক মানের। শয়নকক্ষ, বসার স্থান এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান করা হয়। হেরাতের একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদ আহমেদ আফজালি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের হেরাতে এসে দেখা উচিত যে, ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃত্বে আফগানিস্তানে কীভাবে বিলাসবহুল ও আধুনিক হোটেল নির্মিত হয়েছে। এখানকার জনগণ অতিথিপরায়ণ, উষ্ণ হৃদয়ের ও বন্ধুত্বপূর্ণ—যা একজন পর্যটকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

হেরাতের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক হামিদুল্লাহ ঘিয়াসি বলেন, ইমারতে ইসলামিয়ার অধীনে সারা দেশে নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। বিশেষ করে হেরাতে পর্যটকদের জন্য আধুনিক হোটেল, পরিবহন, গাইড ও অন্যান্য সেবা উন্নত করা হয়েছে। গত তিন বছরে প্রদেশটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

শত শত ঐতিহাসিক নিদর্শন, ইসলামি স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে হেরাত সব সময়ই বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য ছিল। তবে বর্তমানে উন্নত নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার ফলে এই আগ্রহ আরও বহুগুণে বেড়েছে। পর্যটকেরা এখন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন, যা আগের আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে।

কান্দাহার প্রদেশের পর্যটক গোল মোহাম্মদ আছাকজাই জানান, আফগানিস্তানের প্রতিটি প্রদেশ এখন নিরাপদ। তবে হেরাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে। তার মতে, আরও উন্নত পার্ক, হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে হেরাত বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ আব্দুল কাইয়ুম ওয়াজিরি বলেন, আফগানিস্তানের পর্যটন সম্ভাবনা বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে আরও মানসম্মত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং তথ্যভিত্তিক বই-পুস্তকের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসঙ্গে হেরাতের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার জরুরি।

জনপ্রিয়

রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়

প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে পর্যটন খাতে দৃষ্টিনন্দন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ এপ্রিল প্রদেশটির তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন বৃদ্ধির এই ধারা এসেছে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, পর্যটকদের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরির মাধ্যমে।

‘আফগান ট্যুর’-এর প্রধান ওয়াকিল আহমাদ জাহিদমাল জানান, হেরাতের হোটেলগুলোর নাম যেমন আন্তর্জাতিক, তেমনি সেবাও আন্তর্জাতিক মানের। শয়নকক্ষ, বসার স্থান এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান করা হয়। হেরাতের একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদ আহমেদ আফজালি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের হেরাতে এসে দেখা উচিত যে, ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃত্বে আফগানিস্তানে কীভাবে বিলাসবহুল ও আধুনিক হোটেল নির্মিত হয়েছে। এখানকার জনগণ অতিথিপরায়ণ, উষ্ণ হৃদয়ের ও বন্ধুত্বপূর্ণ—যা একজন পর্যটকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

হেরাতের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক হামিদুল্লাহ ঘিয়াসি বলেন, ইমারতে ইসলামিয়ার অধীনে সারা দেশে নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। বিশেষ করে হেরাতে পর্যটকদের জন্য আধুনিক হোটেল, পরিবহন, গাইড ও অন্যান্য সেবা উন্নত করা হয়েছে। গত তিন বছরে প্রদেশটিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

শত শত ঐতিহাসিক নিদর্শন, ইসলামি স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে হেরাত সব সময়ই বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য ছিল। তবে বর্তমানে উন্নত নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার ফলে এই আগ্রহ আরও বহুগুণে বেড়েছে। পর্যটকেরা এখন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন, যা আগের আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে।

কান্দাহার প্রদেশের পর্যটক গোল মোহাম্মদ আছাকজাই জানান, আফগানিস্তানের প্রতিটি প্রদেশ এখন নিরাপদ। তবে হেরাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে। তার মতে, আরও উন্নত পার্ক, হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে হেরাত বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ আব্দুল কাইয়ুম ওয়াজিরি বলেন, আফগানিস্তানের পর্যটন সম্ভাবনা বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে আরও মানসম্মত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং তথ্যভিত্তিক বই-পুস্তকের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসঙ্গে হেরাতের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার জরুরি।