ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামকরণ চার বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখের বেশি

বাড়ছে শীত, কষ্টে ভাসমান মানুষ

নগরীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ভোর শুরু হতেই বয়ে যাচ্ছে কনকনে হিমেল হাওয়া। হিমশীতল হাওয়ার ঝাপ্টায় কুঁকড়ে যাচ্ছেন নগরবাসীরা। শীতের দাপটের কারণে ভোরে নিয়মিত হাঁটেন এমন লোকজনেরও কম্বলের সাথে সখ্যতাও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো ভোরের শীত উপেক্ষা করে কর্মস্থলের দিকে ছুটতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। অনেকের শরীরে পর্যাপ্ত শীতের পোশাক নেই। তীব্র শীত সহ্য করে তারা নেমে পড়ছেন জীবন যুদ্ধে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন ভাসমান লোকজন এবং পথশিশুরা।

 

নগরীর বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় শীতে তাদের জবুথবু হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। আবার শীত নিবারণে অনেকে কাগজ–কাঠ পুঁড়িয়ে উষ্ণতা নেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রামে শীতের মাত্রা কম হলেও বাতাসের কারণে শীতের অনূভুতিও বেশি হচ্ছে বলে জানালেন নগরবাসীরা। গতকাল নগরীর কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালের দিকে ঠান্ডা বাতাসের কারণে নগরবাসীরা গরম কাপড় চোপড় পড়ে চলাফেরা করেন। আকাশ কোয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দিনের সূর্যের দেখা মিলেছেও দেরিতে। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে শীতের মাত্রা কিছুটা কমে এলেও বিকেলের দিকে সেটি ফের বাড়তে থাকে। সাথে বাড়ে হিমেল হাওয়ার গতি।

 

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চট্টগ্রাম সমুদ্র তীরবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। সমুদ্রের কারণে আবহাওয়া কিছুটা উষ্ণ থাকে। তবে প্রাকৃতিকভাবে বেশি শীত নেমে এলে তখন শৈত্যপ্রবাহ হতেও পারে। এটি ঠিক আগামী ক’দিন চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। বর্তমানে চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির বেশি রয়েছে।

 

রিকশা চালক জমির উদ্দিন বলেন, শীত লাগছে। তারপরেও আমাদের আসলে কিছু করার নাই। গরীব মানুষ। রিকশা চালিয়ে খেতে হবে। ঠান্ডা কিংবা গরমের কথা চিন্তা করে তো আ বসে থাকতে পারি না। ৫ জনের সংসার। সারাদিনের আয় দিয়ে সংসার চলে। শীতে মাঝে মাঝে হাত পা অবশ অবশ লাগে। তারপরেও কষ্ট সহ্য করে রিকশা চালাচ্ছি।

 

পথচারী ফরিদ উদ্দিন বলেন, গত ক’দিন শীত পড়ছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে শীতের অনূভুতিটা একটু বেশি। সকালের কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস থাকার কারণে বাইরে চলাফেরা করতে অসুবিধা হচ্ছে।

 

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্ভাবাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে পূর্ভাবাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী কয়েকদিন শীতের মাত্রা কিছুটা বাড়বে। এছাড়া ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা থাকবে। আজ (গতকাল) চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫।

জনপ্রিয়

রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

বাড়ছে শীত, কষ্টে ভাসমান মানুষ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

নগরীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ভোর শুরু হতেই বয়ে যাচ্ছে কনকনে হিমেল হাওয়া। হিমশীতল হাওয়ার ঝাপ্টায় কুঁকড়ে যাচ্ছেন নগরবাসীরা। শীতের দাপটের কারণে ভোরে নিয়মিত হাঁটেন এমন লোকজনেরও কম্বলের সাথে সখ্যতাও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো ভোরের শীত উপেক্ষা করে কর্মস্থলের দিকে ছুটতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। অনেকের শরীরে পর্যাপ্ত শীতের পোশাক নেই। তীব্র শীত সহ্য করে তারা নেমে পড়ছেন জীবন যুদ্ধে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন ভাসমান লোকজন এবং পথশিশুরা।

 

নগরীর বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় শীতে তাদের জবুথবু হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। আবার শীত নিবারণে অনেকে কাগজ–কাঠ পুঁড়িয়ে উষ্ণতা নেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রামে শীতের মাত্রা কম হলেও বাতাসের কারণে শীতের অনূভুতিও বেশি হচ্ছে বলে জানালেন নগরবাসীরা। গতকাল নগরীর কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালের দিকে ঠান্ডা বাতাসের কারণে নগরবাসীরা গরম কাপড় চোপড় পড়ে চলাফেরা করেন। আকাশ কোয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দিনের সূর্যের দেখা মিলেছেও দেরিতে। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে শীতের মাত্রা কিছুটা কমে এলেও বিকেলের দিকে সেটি ফের বাড়তে থাকে। সাথে বাড়ে হিমেল হাওয়ার গতি।

 

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চট্টগ্রাম সমুদ্র তীরবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। সমুদ্রের কারণে আবহাওয়া কিছুটা উষ্ণ থাকে। তবে প্রাকৃতিকভাবে বেশি শীত নেমে এলে তখন শৈত্যপ্রবাহ হতেও পারে। এটি ঠিক আগামী ক’দিন চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। বর্তমানে চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির বেশি রয়েছে।

 

রিকশা চালক জমির উদ্দিন বলেন, শীত লাগছে। তারপরেও আমাদের আসলে কিছু করার নাই। গরীব মানুষ। রিকশা চালিয়ে খেতে হবে। ঠান্ডা কিংবা গরমের কথা চিন্তা করে তো আ বসে থাকতে পারি না। ৫ জনের সংসার। সারাদিনের আয় দিয়ে সংসার চলে। শীতে মাঝে মাঝে হাত পা অবশ অবশ লাগে। তারপরেও কষ্ট সহ্য করে রিকশা চালাচ্ছি।

 

পথচারী ফরিদ উদ্দিন বলেন, গত ক’দিন শীত পড়ছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে শীতের অনূভুতিটা একটু বেশি। সকালের কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস থাকার কারণে বাইরে চলাফেরা করতে অসুবিধা হচ্ছে।

 

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্ভাবাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে পূর্ভাবাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী কয়েকদিন শীতের মাত্রা কিছুটা বাড়বে। এছাড়া ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা থাকবে। আজ (গতকাল) চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫।