ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক হিন্দুত্ববাদী স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম কিশোরকে মারধর বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের হায়দারাবাদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করল অন্তবর্তী সরকারের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কাশ্মীরে আরও দুই যুবকের সম্পদ জব্দ করলো ভারতীয় পুলিশ চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

কারামুক্ত হলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার

অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টায় বাবুল আক্তারকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

 

বাবুল আক্তারের আইনজীবী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। আদালতের রিলিজ আদেশ রবিবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। তিন দিন পর বুধবার বাবুল আক্তারকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

 

এর আগে গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। পরে ১৮ আগস্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।

 

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

বুধবার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত। আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

 

তবে মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন তাকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন।

 

এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাত জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

 

গত বছরের ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্য পর্যায়ে রয়েছে।

জনপ্রিয়

কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক

কারামুক্ত হলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার

প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টায় বাবুল আক্তারকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

 

বাবুল আক্তারের আইনজীবী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। আদালতের রিলিজ আদেশ রবিবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। তিন দিন পর বুধবার বাবুল আক্তারকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

 

এর আগে গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। পরে ১৮ আগস্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।

 

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

বুধবার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত। আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

 

তবে মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন তাকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন।

 

এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাত জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

 

গত বছরের ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্য পর্যায়ে রয়েছে।