দেশের প্রচলিত শ্রম আইনে পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের সুপারিশ করেছে অন্তবর্তী সরকারের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে গৃহকর্মীদেরও শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের সুপারিশ করেছে কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান ও নারী পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভিন হক এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে পতিতাদের আইনগত স্বীকৃতি নেই, তবে যৌন পেশা সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট আইনও নেই। আইন না থাকায় পতিতারা পুলিশের হয়রানি ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়। আর্থিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে তারা আরও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি না থাকায় তারা আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তাও পায় না।’
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের উক্ত সুপারিশের সমালোচনা করে বিশিষ্টজনরা বলছেন, এই সুপারিশ মূলত পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেয়ার প্রচেষ্টার অংশ, যা নব্বই ভাগেরও বেশি মুসলমানের দেশে ধর্ম অবমাননার শামিল। যেহেতু ইসলাম পতিতাবৃত্তিকে সুস্পষ্টভাবে অবৈধ ঘোষণা করে। এছাড়াও এই সুপারিশ নারীদের প্রতি বৈষম্যমুক্তির নামে মূলত নারীদের প্রতি চালু থাকা বৈষম্যকে আইনগত স্বীকৃতি প্রদানের শামিল। যেখানে অভাবের তাড়নায় নারীরা এহেন অপমানজনক কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তাদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের প্রস্তাব না দিয়ে, উক্ত অপমানজনক কর্মের বৈধতা দানের সুপারিশ মানবতাবিরোধী