ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের

স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সময় বেঁধে দিয়েছেন। তাদের দাবি আদায় না হলে ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ডিরেক্টর কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ঘোষণা দেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া বারবার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হলেও মিথ্যা আশ্বাসে পদোন্নতি আটকে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থায় তারা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির মতো চরম কর্মসূচিতে যাচ্ছেন। ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি আদায় না হলে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়া হতে পারে।ঘোষিত কর্মসূচির সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তার দায় মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পদোন্নতিযোগ্য সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারনিউমারারি বা সংখ্যাতিরিক্ত হিসেবে পদোন্নতি দাবি করেছেন তারা। বিসিএস স্বাস্থ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চাকরির নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর পদোন্নতি দেওয়া হয় কাজের মান ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য। বিভাগীয় পরীক্ষায় পাস এবং ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সম্পন্ন করা থাকলে চাকরি স্থায়ী হয়। চাকরি স্থায়ী এবং চাকরির চার বছর হলে সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা দেওয়া যায়। এরপর উত্তীর্ণরা পদোন্নতির যোগ্য হয়।

সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি আদায় না হলে প্রথমে তিন দিন দু-ঘণ্টা করে এবং পরবর্তী সময়ে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে।”

চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা এবার কর্মবিরতির মতো চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এই কর্মবিরতি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং রোগীদের সেবা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়া এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের

প্রকাশিত: ০৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সময় বেঁধে দিয়েছেন। তাদের দাবি আদায় না হলে ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ডিরেক্টর কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ঘোষণা দেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া বারবার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হলেও মিথ্যা আশ্বাসে পদোন্নতি আটকে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থায় তারা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির মতো চরম কর্মসূচিতে যাচ্ছেন। ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি আদায় না হলে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়া হতে পারে।ঘোষিত কর্মসূচির সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তার দায় মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পদোন্নতিযোগ্য সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারনিউমারারি বা সংখ্যাতিরিক্ত হিসেবে পদোন্নতি দাবি করেছেন তারা। বিসিএস স্বাস্থ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চাকরির নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর পদোন্নতি দেওয়া হয় কাজের মান ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য। বিভাগীয় পরীক্ষায় পাস এবং ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সম্পন্ন করা থাকলে চাকরি স্থায়ী হয়। চাকরি স্থায়ী এবং চাকরির চার বছর হলে সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা দেওয়া যায়। এরপর উত্তীর্ণরা পদোন্নতির যোগ্য হয়।

সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি আদায় না হলে প্রথমে তিন দিন দু-ঘণ্টা করে এবং পরবর্তী সময়ে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে।”

চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা এবার কর্মবিরতির মতো চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এই কর্মবিরতি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং রোগীদের সেবা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়া এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।