ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
দুদকের তলবে হাজির হননি উপদেষ্টার সাবেক দুই পিও নরসিংদী স্টেশনে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির অনুমোদন সিলেটে প্রথমবারের মতো চা প্রদর্শনী, চীন-বাংলাদেশ চা বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার ৪১তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৫ কর্মকর্তা চাকরি ছাড়লেন এসএসসি পরীক্ষার আগে শ্রেণিকক্ষে ভাঙচুর করে টিকটক ভিডিও, ৬ শিক্ষার্থী শনাক্ত চবির মূল ক্যাম্পাসে ফিরছে চারুকলা ইনস্টিটিউট, শুরু শ্রেণি কার্যক্রম আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে নাগরিকদের প্রতি ডিএমপির আহ্বান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ভয়াবহ চুকনগর গণহত্যা: ইতিহাসে উপেক্ষিত এক ট্র্যাজেডি

সিইপিজেডে বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ, যানজট

বকেয়া বেতন ও ঈদুল ফিতরের বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পোশাক কারখানা এম/এস মোডিস্ট (সিইপিজেড) লিমিটেডের শ্রমিকরা আজ সোমবার দুপুরে ফ্রিপোর্ট মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট, দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা।

 

প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দুই হাজার শ্রমিক সকাল ৮টা থেকে ফ্যাক্টরির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তাঁরা ফ্রিপোর্ট মোড়ে নেমে এসে রাস্তা অবরোধ করেন। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম এই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ।

 

 

নগরীর আগ্রাবাদ থেকে বহদ্দারহাট বাসের যাত্রী সালেহা বেগম বলেন, “আসার পথে পুরো এক ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। রিকশাও চলছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে।”

 

শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ গত এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস এখনো পরিশোধ করেনি। গতকাল রবিবার তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর বেপজা, শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মালিকপক্ষ রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো ঘোষণা না আসায় শ্রমিকেরা ফ্রিপোর্ট মোড়ে অবস্থান নেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, “ঈদ চলে গেল, এখনো বেতন পাইনি। মালিক শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। আজও না পেলে আমরা রাস্তাতেই থাকব।”

 

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল বলেন, “শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন। ফ্রিপোর্ট মোড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। আমরা সতর্ক ছিলাম পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়।”

 

এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে আগ্রাবাদ, বন্দরের বিভিন্ন এলাকা, বেপজা সংলগ্ন রাস্তাসহ বিস্তৃত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে কিছু শ্রমিক ফেরত গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

স্থানীয়দের আশঙ্কা, মালিকপক্ষ দাবি পূরণে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে শ্রমিক অসন্তোষ আরও বাড়তে পারে।

জনপ্রিয়

দুদকের তলবে হাজির হননি উপদেষ্টার সাবেক দুই পিও

সিইপিজেডে বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ, যানজট

প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বকেয়া বেতন ও ঈদুল ফিতরের বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পোশাক কারখানা এম/এস মোডিস্ট (সিইপিজেড) লিমিটেডের শ্রমিকরা আজ সোমবার দুপুরে ফ্রিপোর্ট মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট, দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা।

 

প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দুই হাজার শ্রমিক সকাল ৮টা থেকে ফ্যাক্টরির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তাঁরা ফ্রিপোর্ট মোড়ে নেমে এসে রাস্তা অবরোধ করেন। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম এই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ।

 

 

নগরীর আগ্রাবাদ থেকে বহদ্দারহাট বাসের যাত্রী সালেহা বেগম বলেন, “আসার পথে পুরো এক ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। রিকশাও চলছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে।”

 

শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ গত এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস এখনো পরিশোধ করেনি। গতকাল রবিবার তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর বেপজা, শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মালিকপক্ষ রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো ঘোষণা না আসায় শ্রমিকেরা ফ্রিপোর্ট মোড়ে অবস্থান নেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, “ঈদ চলে গেল, এখনো বেতন পাইনি। মালিক শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। আজও না পেলে আমরা রাস্তাতেই থাকব।”

 

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল বলেন, “শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন। ফ্রিপোর্ট মোড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। আমরা সতর্ক ছিলাম পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়।”

 

এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে আগ্রাবাদ, বন্দরের বিভিন্ন এলাকা, বেপজা সংলগ্ন রাস্তাসহ বিস্তৃত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে কিছু শ্রমিক ফেরত গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

স্থানীয়দের আশঙ্কা, মালিকপক্ষ দাবি পূরণে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে শ্রমিক অসন্তোষ আরও বাড়তে পারে।