ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১১টি ব্যাংকের কাছে পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের

বাংলাদেশ ব্যাংক, বর্তমান সরকারের আমলে ১১টি ব্যাংককে মোট ৫৩ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে। এই ১১টি ব্যাংক ছিলো বিশাল আর্থিক সংকটে, যার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সহায়তা করেছে। এসব ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক ঋণ জালিয়াতি এবং লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে ভুগছে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।

গত সরকারের আমলে বিশেষ করে ২০২২ সালের শেষের দিকে ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহক অর্থ তোলা শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে চলে যায়। তবে, ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি প্রধান পদ্ধতি ব্যবহার করেছে: টাকা ছাপানো, গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ, এবং চলতি হিসাবে ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে।

সর্বোচ্চ পরিমাণ সহায়তা পেয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, যার কাছে ৭ হাজার ২৭০ কোটি টাকা চলতি হিসাবে ঘাটতির বিপরীতে, ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা গ্যারান্টি এবং ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য ব্যাংকগুলোকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে, যেমন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ইত্যাদি।

ব্যাংকগুলোর জন্য এই সহায়তা নেওয়ার পরও তা যথেষ্ট নয়, এবং ব্যাংকগুলো এখনও সংকট কাটাতে সক্ষম হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পরিস্থিতি মনিটর করছে এবং প্রয়োজন হলে হস্তক্ষেপ করবে।

বিষয়টির ওপর বিস্তারিত আলোচনা আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে।

জনপ্রিয়

১১টি ব্যাংকের কাছে পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত: ০১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংক, বর্তমান সরকারের আমলে ১১টি ব্যাংককে মোট ৫৩ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে। এই ১১টি ব্যাংক ছিলো বিশাল আর্থিক সংকটে, যার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সহায়তা করেছে। এসব ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক ঋণ জালিয়াতি এবং লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে ভুগছে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।

গত সরকারের আমলে বিশেষ করে ২০২২ সালের শেষের দিকে ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহক অর্থ তোলা শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে চলে যায়। তবে, ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি প্রধান পদ্ধতি ব্যবহার করেছে: টাকা ছাপানো, গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ, এবং চলতি হিসাবে ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে।

সর্বোচ্চ পরিমাণ সহায়তা পেয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, যার কাছে ৭ হাজার ২৭০ কোটি টাকা চলতি হিসাবে ঘাটতির বিপরীতে, ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা গ্যারান্টি এবং ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য ব্যাংকগুলোকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে, যেমন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ইত্যাদি।

ব্যাংকগুলোর জন্য এই সহায়তা নেওয়ার পরও তা যথেষ্ট নয়, এবং ব্যাংকগুলো এখনও সংকট কাটাতে সক্ষম হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পরিস্থিতি মনিটর করছে এবং প্রয়োজন হলে হস্তক্ষেপ করবে।

বিষয়টির ওপর বিস্তারিত আলোচনা আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে।