ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

কক্সবাজারে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ

দুইদিনের ব্যবধানে কক্সবাজার উপকূলে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ। গতকাল বুধবার সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান সার্ভে করে এসব মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) পাঁচ সদস্যের একটি গবেষণা দল সকাল ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে সার্ভের কাজ সম্পন্ন করে। এই নিয়ে গত ছয় দিনে ৮৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে গবেষক দল। এবারও বেশিরভাগ ছিল অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা সামুদ্রিক কচ্ছপ। অধিকাংশ কচ্ছপের পেটে ডিম ছিল বলে জানিয়েছে গবেষণা দল।

 

সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া জানান, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা চারদিনে সমুদ্র সৈকতের টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়া উপজেলার রূপপতি, সোনার পাড়া, পেঁচারদ্বীপ ও হিমছড়ি পর্যন্ত স্থান থেকে ৭০টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি একদিন বিরতির পর গতকাল ২৯ জানুয়ারি শেষ দফার অনুসন্ধানে নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান থেকে ১৪টি মৃত কচ্ছপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে মংলাপাড়ায় একটি, পেঁচারদ্বীপে দুইটি, সালসা বিচে তিনটি, হিমছড়িতে চারটি এবং দরিয়ানগরে চারটি মৃত কচ্ছপ পাওয়া গেছে। এসব কচ্ছপ পাঁচ থেকে তিন মাসে ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর কচ্ছপগুলো বালি চাপা দেওয়া হয়েছে।

 

গতবছর প্রজনন মৌসুমের একই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট মৃত মা কচ্ছপ ভেসে এসেছিল। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মারা পড়ার হার অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

কক্সবাজারে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ

প্রকাশিত: ০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

দুইদিনের ব্যবধানে কক্সবাজার উপকূলে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ। গতকাল বুধবার সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান সার্ভে করে এসব মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) পাঁচ সদস্যের একটি গবেষণা দল সকাল ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে সার্ভের কাজ সম্পন্ন করে। এই নিয়ে গত ছয় দিনে ৮৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে গবেষক দল। এবারও বেশিরভাগ ছিল অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা সামুদ্রিক কচ্ছপ। অধিকাংশ কচ্ছপের পেটে ডিম ছিল বলে জানিয়েছে গবেষণা দল।

 

সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া জানান, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা চারদিনে সমুদ্র সৈকতের টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়া উপজেলার রূপপতি, সোনার পাড়া, পেঁচারদ্বীপ ও হিমছড়ি পর্যন্ত স্থান থেকে ৭০টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি একদিন বিরতির পর গতকাল ২৯ জানুয়ারি শেষ দফার অনুসন্ধানে নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান থেকে ১৪টি মৃত কচ্ছপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে মংলাপাড়ায় একটি, পেঁচারদ্বীপে দুইটি, সালসা বিচে তিনটি, হিমছড়িতে চারটি এবং দরিয়ানগরে চারটি মৃত কচ্ছপ পাওয়া গেছে। এসব কচ্ছপ পাঁচ থেকে তিন মাসে ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর কচ্ছপগুলো বালি চাপা দেওয়া হয়েছে।

 

গতবছর প্রজনন মৌসুমের একই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট মৃত মা কচ্ছপ ভেসে এসেছিল। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মারা পড়ার হার অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।