ঢাকা , সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

কক্সবাজারে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ

দুইদিনের ব্যবধানে কক্সবাজার উপকূলে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ। গতকাল বুধবার সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান সার্ভে করে এসব মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) পাঁচ সদস্যের একটি গবেষণা দল সকাল ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে সার্ভের কাজ সম্পন্ন করে। এই নিয়ে গত ছয় দিনে ৮৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে গবেষক দল। এবারও বেশিরভাগ ছিল অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা সামুদ্রিক কচ্ছপ। অধিকাংশ কচ্ছপের পেটে ডিম ছিল বলে জানিয়েছে গবেষণা দল।

 

সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া জানান, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা চারদিনে সমুদ্র সৈকতের টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়া উপজেলার রূপপতি, সোনার পাড়া, পেঁচারদ্বীপ ও হিমছড়ি পর্যন্ত স্থান থেকে ৭০টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি একদিন বিরতির পর গতকাল ২৯ জানুয়ারি শেষ দফার অনুসন্ধানে নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান থেকে ১৪টি মৃত কচ্ছপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে মংলাপাড়ায় একটি, পেঁচারদ্বীপে দুইটি, সালসা বিচে তিনটি, হিমছড়িতে চারটি এবং দরিয়ানগরে চারটি মৃত কচ্ছপ পাওয়া গেছে। এসব কচ্ছপ পাঁচ থেকে তিন মাসে ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর কচ্ছপগুলো বালি চাপা দেওয়া হয়েছে।

 

গতবছর প্রজনন মৌসুমের একই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট মৃত মা কচ্ছপ ভেসে এসেছিল। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মারা পড়ার হার অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

কক্সবাজারে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ

প্রকাশিত: ০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

দুইদিনের ব্যবধানে কক্সবাজার উপকূলে ভেসে এসেছে আরো ১৪টি মৃত কচ্ছপ। গতকাল বুধবার সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান সার্ভে করে এসব মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) পাঁচ সদস্যের একটি গবেষণা দল সকাল ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে সার্ভের কাজ সম্পন্ন করে। এই নিয়ে গত ছয় দিনে ৮৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে গবেষক দল। এবারও বেশিরভাগ ছিল অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা সামুদ্রিক কচ্ছপ। অধিকাংশ কচ্ছপের পেটে ডিম ছিল বলে জানিয়েছে গবেষণা দল।

 

সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া জানান, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা চারদিনে সমুদ্র সৈকতের টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়া উপজেলার রূপপতি, সোনার পাড়া, পেঁচারদ্বীপ ও হিমছড়ি পর্যন্ত স্থান থেকে ৭০টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি একদিন বিরতির পর গতকাল ২৯ জানুয়ারি শেষ দফার অনুসন্ধানে নাজিরারটেক থেকে পেঁচারদ্বীপ–মংলাপাড়া পর্যন্ত স্থান থেকে ১৪টি মৃত কচ্ছপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে মংলাপাড়ায় একটি, পেঁচারদ্বীপে দুইটি, সালসা বিচে তিনটি, হিমছড়িতে চারটি এবং দরিয়ানগরে চারটি মৃত কচ্ছপ পাওয়া গেছে। এসব কচ্ছপ পাঁচ থেকে তিন মাসে ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর কচ্ছপগুলো বালি চাপা দেওয়া হয়েছে।

 

গতবছর প্রজনন মৌসুমের একই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট মৃত মা কচ্ছপ ভেসে এসেছিল। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মারা পড়ার হার অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।