গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যার ফলে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বগুড়া সহ অন্তত পাঁচটি জেলায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কেএফসি, পিৎজা হাট ও বাটার শোরুমসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে এসব হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সহিংস ও অবৈধ কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কর্তৃপক্ষের মতে, এই হামলা ও ভাঙচুর জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলমান রয়েছে।
বিপর্যয়ের পর পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি, পুলিশ বিক্ষোভ চলাকালীন বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না সব অপরাধী গ্রেফতার করা যায়।
বিবৃতিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, যারা এই তদন্তে সহায়তা করতে পারেন, তারা যেন এগিয়ে আসেন। কর্তৃপক্ষের মতে, এই অভিযান নিশ্চিত করবে যে যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তারা আইনের আওতায় আসবে।
এই ঘটনাটি দেশজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং কর্তৃপক্ষ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।