যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রীড়াঙ্গনে নতুন বিপদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর পাল্টা শুল্ক নীতির মাধ্যমে। এর প্রভাব ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে পড়তে শুরু করেছে, বিশেষত ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক ইভেন্টে। ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি খেলাধুলা এবং ক্রীড়াসামগ্রীর বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুটি বড় ক্রীড়াসমারোহ, ফুটবল বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক, এই শুল্ক নীতির ফলে হুমকির মুখে পড়তে পারে। বিশেষ করে, ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং স্পন্সরদের ওপর পড়বে ব্যাপক চাপ। নতুন শুল্কের কারণে ক্রীড়া সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর জন্য স্পন্সর পাওয়ার পরিমাণ কমে যেতে পারে।
এদিকে, ক্রীড়াসামগ্রী বাজারে একাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্ডারআর্মারের শেয়ারের ১৮.২৫ শতাংশ, নাইকির ১৪.৪%, পুমার ১১.৮% এবং অ্যাডিডাসের ১১.৭% দরপতন ঘটেছে। এছাড়া, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ১০৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্রীড়াপণ্য আমদানি করেছিল, যার মধ্যে ৬২৭ কোটি ডলারের পণ্য চীন থেকে এসেছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে এশীয় দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া নিশ্চিত। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতে তৈরি হয় ফুটবল, সাঁতারের পোশাক, ট্র্যাকশুট, বল এবং অন্যান্য ক্রীড়া সামগ্রী। নতুন শুল্ক আরোপের ফলে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
তবে আশার কথা, ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে হোয়াইট হাউজের টাস্কফোর্সের প্রধান হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। এর ফলে শুল্ক নীতি এবং ক্রীড়াঙ্গনে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতার নেতিবাচক প্রভাব কমানোর দায়িত্ব তাঁর ওপরেই বর্তাবে। ক্রীড়া বিশ্ব এখন প্রত্যাশা করছে, তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পরিস্থিতি শোধরানোর ব্যবস্থা করবেন।