পাবনায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি আর) কর্মসূচির বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহারে চরম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ করা ৬০ লাখ টাকার মধ্যে অধিকাংশ অর্থ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং সমালোচনা শুরু হয়েছে।
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি আর) প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কিন্তু বরাদ্দের বেশিরভাগ অর্থ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং গ্যারেজ নির্মাণ কাজে চলে গেছে। এতে সচেতন মহল এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা দাবি করছেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হয়ে, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজেদের সুবিধা অর্জনের চেষ্টা হচ্ছে।
পাবনা নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব জাকির হোসেন বলেন, এই বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পের উদ্দেশ্য পূরণ করা সম্ভব হয়নি, বরং এটি জনগণকে ধোকা দেওয়া হয়েছে। একই রকম সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির পাবনা জেলার সভাপতি কদর আলী, যিনি বলছেন যে সার্কিট হাউসে বরাদ্দ অর্থ গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যয় করা উচিত ছিল।
এদিকে, পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, কিছু ভুল হয়েছে এবং তিনি পুনরায় প্রকল্প সংশোধন করার আশ্বাস দেন।
এছাড়া, অভিযোগ উঠেছে যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত ২০ লাখ টাকা পাবনার উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হয়নি, যা আরও একটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।