রাজধানীর বাংলামোটর এলাকার এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) কার্যালয়ের সামনে সোমবার রাতে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় মোট ৫টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে চারটি বিস্ফোরিত হয় এবং একটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আরও পাঁচ জনকে এই ঘটনার সন্দেহে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে ঘটনাস্থলেই জনতা গণধোলাই দিয়েছে। এরপর তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ঘটনাটি রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে রূপায়ণ টাওয়ার সংলগ্ন এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত হয়। ককটেল নিক্ষেপকারীরা মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করার সময় এনসিপির নেতা-কর্মীরা দুইজনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। এছাড়াও আরও তিন জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় এবং সবাইকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশের রমনা থানার উপপরিদর্শক অরূপ দত্ত জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অবিস্ফোরিত ককটেল নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছে।
একই সময় ওই ঘটনার পর জনতার হাতে ধর্ষিত একজন মো: মাসুদুর রহমান নামে ২৮ বছর বয়সী যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার বাসিন্দা এবং ঢাকার রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীতে বসবাস করতেন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা জানান, মাসুদুরের চিকিৎসা চলছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
গত কয়েক ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যেকার কিছু ঘটনা মিরপুর, ধানমন্ডি ও খিলগাঁও এলাকায় ঘটেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় তৈরি কারণ ও পেছনের প্রেক্ষাপট নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এবং বিষয়টি নজরদারির মধ্যে রয়েছে, যাতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যায় এবং জনজীবনে অস্থিরতা না ঘটে।
ডেস্ক রিপোর্ট