তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় সবাই। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতা রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হয়েছেন। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে অস্থায়ী মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যার সাজসজ্জায় স্থান পেয়েছে আবু সাঈদের প্রসারিত হাত এবং জুলাই বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি।
এই আয়োজনে ৩৬টি রাজনৈতিক দলসহ ৫১টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিলো। নতুন এই দল গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার ও সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে এবং গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে কাজ করবে—এমন প্রত্যাশা নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ।
দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকে প্রবীণরাও এই সমাবেশে যোগ দিতে এসেছিলেন। তারা বিগত দিনের রাজনীতির ভুলগুলো থেকে উত্তরণে তরুণদের ওপর আস্থা রাখছেন। সাধারণ মানুষও নতুন এই রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, আগের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় বসে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যস্ত ছিল, এবার তরুণ সমাজের সুযোগ পাওয়া উচিত।
সমাবেশস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিলো এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০ পদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তারা হলেন: আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিবা, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল) ও সারজিস আলম (উত্তরাঞ্চল), মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে ঘিরে দেশজুড়ে উৎসাহ ও প্রত্যাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।