বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. বায়োজিদ বোস্তামি জীমকে (২৪) হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাবেক ছয় এমপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ৮৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১০ মাস পর গাইবান্ধা সদর থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী বায়োজিদ।
মামলার আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাহিদ নিগার সুলতানা, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সরোয়ার কবির, সদর আসনের সাবেক সংসদ ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বায়োজিদকে অপহরণ করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফ সরকারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গলাচেপে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর গত ৪ আগস্ট বেলা ২টার দিকে গাইবান্ধা ডিসি অফিসের সামনে থেকে পুনরায় বায়োজিদকে আটক করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে মারধর করা হয়। আক্রমণকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে চলে যায়।
মামলার বাদী বায়োজিদ বলেন, দুই দফায় তার ওপর হামলা করাসহ হত্যাচেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ১০ মাস পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, জোরপূর্বক অপহরণের পর মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।