ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

গজারিয়ায় এক বছরে ৫৬ জন শিক্ষার্থী কুরআনের হেফজ সম্পন্ন

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ): মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার চরপাথালিয়া সালমান ফারসি (রা.) মাদরাসা থেকে এক বছরে ৫৬ জন শিক্ষার্থী কুরআনের হেফজ সম্পন্ন করেছে। এ উপলক্ষে গত বুধবার মাদরাসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান করা হয় এবং তাদের পিতাদের ‘গর্বিত বাবা’ উপাধি দেওয়া হয়।

মাদরাসার মুতাওয়াল্লি মো. শিকদার শিহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে পাগড়ি প্রদান মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান উস্তাজুল হুফফাজ হাফেজ আবদুল হক, প্রধান মেহমান ছিলেন জামেয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু সাঈদ, এবং প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা যাইনুল আবেদীন। এ ছাড়াও গজারিয়ার স্থানীয় মাদরাসার পরিচালক, আলেম-উলামা এবং হাফেজ ছাত্রদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ আল আমিন সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে মো. শিকদার শিহাবুদ্দিন বলেন, ‘হাফেজরা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে দামি মানুষ। তাদের কদর বোঝা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যারা আজ হাফেজ হলেন, তারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেও তাদের আলাদা একটি পরিচয় থাকবে, তারা হাফেজে কুরআন। তারা কুরআনের মত পবিত্র গ্রন্থকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন, এজন্য হাফেজদের মর্যাদা আমাদের বুঝতে হবে।’

প্রধান অতিথি হাফেজ আবদুল হক তার বক্তৃতায় বলেন, ‘হাফেজদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান আসলে একটি ক্ষুদ্র অনুষ্ঠান মাত্র। আসল সম্মান তাদের জান্নাতে দেওয়া হবে। আজ যারা হাফেজ হলেন, তাদের বাবাকে ‘গর্বিত বাবা’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে, যা একটি ছোট নমুনা মাত্র। কেয়ামতের দিনে আল্লাহ তায়ালা তাদের বাবাদের নূরের টুপি পরাবেন। হাফেজদের সম্মান দুনিয়া ও আখেরাতে সর্বত্র সবার ওপরে থাকবে।’

এ অনুষ্ঠানে হাফেজ ছাত্রদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের পরিবারের অবদানকেও প্রশংসা করা হয়, যারা তাদের সন্তানদের এমন সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

গজারিয়ায় এক বছরে ৫৬ জন শিক্ষার্থী কুরআনের হেফজ সম্পন্ন

প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ): মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার চরপাথালিয়া সালমান ফারসি (রা.) মাদরাসা থেকে এক বছরে ৫৬ জন শিক্ষার্থী কুরআনের হেফজ সম্পন্ন করেছে। এ উপলক্ষে গত বুধবার মাদরাসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান করা হয় এবং তাদের পিতাদের ‘গর্বিত বাবা’ উপাধি দেওয়া হয়।

মাদরাসার মুতাওয়াল্লি মো. শিকদার শিহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে পাগড়ি প্রদান মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান উস্তাজুল হুফফাজ হাফেজ আবদুল হক, প্রধান মেহমান ছিলেন জামেয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু সাঈদ, এবং প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা যাইনুল আবেদীন। এ ছাড়াও গজারিয়ার স্থানীয় মাদরাসার পরিচালক, আলেম-উলামা এবং হাফেজ ছাত্রদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ আল আমিন সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে মো. শিকদার শিহাবুদ্দিন বলেন, ‘হাফেজরা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে দামি মানুষ। তাদের কদর বোঝা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যারা আজ হাফেজ হলেন, তারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেও তাদের আলাদা একটি পরিচয় থাকবে, তারা হাফেজে কুরআন। তারা কুরআনের মত পবিত্র গ্রন্থকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন, এজন্য হাফেজদের মর্যাদা আমাদের বুঝতে হবে।’

প্রধান অতিথি হাফেজ আবদুল হক তার বক্তৃতায় বলেন, ‘হাফেজদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান আসলে একটি ক্ষুদ্র অনুষ্ঠান মাত্র। আসল সম্মান তাদের জান্নাতে দেওয়া হবে। আজ যারা হাফেজ হলেন, তাদের বাবাকে ‘গর্বিত বাবা’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে, যা একটি ছোট নমুনা মাত্র। কেয়ামতের দিনে আল্লাহ তায়ালা তাদের বাবাদের নূরের টুপি পরাবেন। হাফেজদের সম্মান দুনিয়া ও আখেরাতে সর্বত্র সবার ওপরে থাকবে।’

এ অনুষ্ঠানে হাফেজ ছাত্রদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের পরিবারের অবদানকেও প্রশংসা করা হয়, যারা তাদের সন্তানদের এমন সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।