নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। দুর্ঘটনার পর ৩৩ জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
উপজেলার ভাসানচর থেকে সোমবার দুপুরে তিন পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাসহ ৩৯ জনকে নিয়ে ট্রলারটি রওনা হয়েছিল।
বিকালের দিকে হরণী ইউনিয়নের করিম বাজার ঘাটের কাছে ডুবারচর এলাকায় ট্রলারটি ডুবে যায় বলে হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান।
দুর্ঘটনার পর পরই নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বরাতে পুলিশ জানায়, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে। ভাসানচর থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। বাকি দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ বলে জানান ওসি আজমল হুদা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় টানা চার দিন হাতিয়ার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এ কারণে হাতিয়া সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল।
চার দিন পর শনিবার সকাল থেকে নোয়াখালীর মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে হাতিয়ায় নৌচলাচল স্বাভাবিক হয়। মূল ভূ-খণ্ড থেকে হাতিয়া যেতে নৌপথে প্রায় সোয়া ঘণ্টা সময় লাগে।