তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, এক সময় বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে যে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল, তা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এই দুটি গণমাধ্যমকে জনমুখী করে গড়ে তুলতে হবে এবং শুধুমাত্র সরকারি অর্থের ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব আয়ের পথ তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে খুলনা সার্কিট হাউজে মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য সচিব বলেন, বিটিভি ও বেতারে এক সময় কালজয়ী নাটকসহ বহু শ্রোতাপ্রিয় অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো। সেই আবেদন ফিরিয়ে আনতে শ্রোতানন্দিত অনুষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরশিপ থেকে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রের বোঝা না বানিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য আইসিটিসহ যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মুন্সি জালাল উদ্দিন, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিতান কুমার মণ্ডল, জেলা ও আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তারা।
পরে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তথ্য সচিব বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে। সেই রক্তের ঋণের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মশুদ্ধির সময় এসেছে। সরকারি দায়িত্ব সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করলে কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও সততা আসবেই। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা এবং সঠিক-ভুল নির্ধারণের সাহস থাকলে উন্নয়ন সম্ভব। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে অপতথ্য রোধে বেতারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মুনীর আহমদ, প্রকল্প পরিচালক মুন্সি জালাল উদ্দিন, পরিচালক মো. বশির উদ্দিন, খুলনা বেতারের বার্তা নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর অংশ হিসেবে তথ্য সচিব খুলনায় আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প এলাকা এবং বিটিভির খুলনা উপকেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।