প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। এর ফলে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। লঞ্চঘাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত এই ভিড় আরও বাড়বে।
ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুটের লঞ্চ ও সি-ট্রাকগুলোতে ধারণক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে, যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যাত্রীসংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করছেন, আবার অনেকে অবৈধ ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা নদী পার হচ্ছেন।
এই রুটে বর্তমানে দুটি লঞ্চ ও চারটি সি-ট্রাক চলাচল করছে, যা বিপুল যাত্রীর তুলনায় অপ্রতুল। ফলে কাজের তাগিদে অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে উত্তাল নদী পার হচ্ছেন, যেখানে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য সতর্ক করা হলেও বেশিরভাগ যাত্রী তা মানছেন না, যার ফলে জনসচেতনতার অভাব স্পষ্ট।
চট্টগ্রামগামী যাত্রী রফিকুল আমিন জানান, ভিড় এড়াতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই রওনা হয়েছেন, কিন্তু ইলিশা ঘাটে এসে দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও সি-ট্রাকে উঠতে পারেননি এবং অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে।
অনেক যাত্রী, যেমন মিজানুর রহমান ও আবদুল হামিদ, অভিযোগ করেছেন, লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকরা খামখেয়ালি আচরণ করছেন এবং বিআইডব্লিউটিএ’র তদারকির অভাব রয়েছে।
অবৈধভাবে যাত্রী পারাপারের দায়ে বিআইডব্লিউটিএ একটি ট্রলার ও চারটি স্পিডবোট আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
বর্তমানে ভোলার ইলিশা-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন ১১টি লঞ্চ এবং ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুটে দুটি লঞ্চ ও চারটি সি-ট্রাক চলাচল করছে।