ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
২৬ জুন শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা, করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ ইরানের ‘শাসন বদলের’ মিশনে ইসরায়েল, উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য ভারী অস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় প্রাণহানি বাড়ছে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা: যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ তদন্তকারী দল ভারতে তেহরানের বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে তীব্র যানজট, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ চরমে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে হতাহত ৮০ ক্যানসারের দ্বিগুণ কার্যকরী ওষুধ উদ্ভাবনের দাবি মার্কিন গবেষকদের

পটিয়ায় সাঁতার শেখাতে গিয়ে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় পুকুরে ও নদীতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন শিশুসহ ৯ জন। গত রোববার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

 

পটিয়ায় সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে চাচা–ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের মধ্যম বাথুয়া ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের মধ্যম বাথুয়া ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ নাছির (৫৫) ও তার ভাতিজা বাহার উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আনাচ আরিয়ান (১৪)। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবুল ফয়েজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, আরিয়ানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। নাছির নগরীর একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা ও তার ভাতিজা আরিয়ান চুয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সাথে গ্রামের বাড়ি আসেন আরিয়ান। সোমবার দুপুরে চাচা ভাতিজা পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় চাচা নাছির ভাতিজাকে সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে সাঁতরিয়ে পুকুরে মাঝে চলে যায় আরিয়ান। আরিয়ান ডুবে যাচ্ছে দেখে চাচা তাকে উদ্ধার করতে দ্রুত সাঁতরিয়ে তার কাছে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে চাচাও সাঁতরিয়ে আর কূলে উঠতে পারেনি। এতে পুকুরে ডুবে চাচা–ভাতিজা দুইজনেরই মৃত্যু হয়। কিছুক্ষণ পর পানিতে তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

 

 

রাঙ্গুনিয়ায় পরিবারের সাথে বেড়াতে এসেছিলো দুই শিশু। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কোদালা সুলতানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ঘাট দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে তারা। এ সময় সবার অজান্তে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু দুটি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশু কন্যাটির লাশ পাওয়া যায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকায়। পরের দিন বুধবার বিকালে কর্ণফুলী নদীর কোদালা চা বাগান সংলগ্ন ব্রিকফিল্ড বালুরটাল এলাকায় উদ্ধার হয় অপর শিশু।

 

উদ্ধার শিশু কন্যার নাম আরিফা আক্তার (১১)। সে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আইডব্লিও কলোনির আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। অপর শিশুর নাম মোহাম্মদ ইমন (৬)। সে চট্টগ্রাম ষোলশহর এলাকার মো. ফোরকানের ছেলে। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. শাহজাহান কামাল জানান, পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে লাশগুলো বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এদিকে কর্ণফুলী নদীর কাপ্তাই অংশে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন নকুল কুমার মল্লীক (৫০) নামে এক জেলে। দু’দিন ধরে তাকে অনেক খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে নিখোঁজের দু’দিন পর কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া অংশ থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তার বাড়ি কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কেপিএম কয়লার ডিপু এলাকায়।

লোহাগাড়ায় ইটভাটার পুকুরে ডুবে মোহাম্মদ তানজিম (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বার আউলিয়া ব্রিকস নামক এক ইটভাটার পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। শিশু তানজিম একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মীর পাড়ার মৌলানা কাইছারের পুত্র।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশু তানজিম স্থানীয় একটি হেফজখানার শিক্ষার্থী। ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে আসে। ঘটনারদিন দুপুরে এলাকার তার সহপাঠীদের সাথে ফুটবল খেলতে বের হয়। খেলার এক পর্যায়ে ফুটবল ইটভাটার পুকুরে পড়ে যায়। পুকুরে নেমে ফুটবল আনতে গিয়ে শিশু তানজিম পানিতে ডুবে যায়। পরে তার সহপাঠীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

 

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পার্থ জানান, রাতে পুকুরের পানিতে ডুবে যাওয়া এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সাতকানিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১১ বছরের এক শিশু মারা গেছে। তার নাম মোহাম্মদ ইমরাজ। সোমবার দুপুরে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু ওই এলাকার প্রবাসী আহামদ হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি নূরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

 

ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদ ইমরাজসহ এলাকার ২ শিশু গত সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ৪শ গজ দূরের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। ঘাট থেকে পুকুরের পানিতে নেমে গোসল করার এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইমরাজ পানির মধ্যে ডুবে যায়। পরে ইমরাজের সঙ্গে থাকা শিশুটি বাড়িতে এসে ইমরাজের পানিতে ডুবে যাওয়ার খবরটি স্বজনদের জানায়। এরপর স্বজন ও প্রতিবেশীরা ওই পুকুরের পানিতে নেমে ডুবন্ত অবস্থায় ইমরাজকে উদ্ধার করেন।

আনোয়ারায় পুকুরে ডুবে মোছাম্মৎ মাহিরা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের পূর্ব পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই এলাকার মুহাম্মদ মোরশেদের কন্যা।

 

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে মাহিরা বাড়ির উঠানে বের হয়ে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা মাহিরাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে। আনোয়ারা হাসপাতালে নেওযার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মীরসরাইয়ে পুকুরে ডুবে সালাহ উদ্দিন (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ হাইতকান্দি এলাকার কাঠগড়িয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালাহ উদ্দিন ওই বাড়ির জহির উদ্দিনের ছেলে। সে সাহেরখালী হাবিবিয়া দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

 

সালাহ উদ্দিনের মামা ইমাম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমে দূরে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় সে। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে তার নিথর দেহ ভেসে ওঠে।

 

হাইতকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুদ হোসেন বলেন, এভাবে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া মর্মান্তিক। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জনপ্রিয়

২৬ জুন শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা, করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ

পটিয়ায় সাঁতার শেখাতে গিয়ে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৬ ঘন্টা আগে

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় পুকুরে ও নদীতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন শিশুসহ ৯ জন। গত রোববার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

 

পটিয়ায় সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে চাচা–ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের মধ্যম বাথুয়া ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের মধ্যম বাথুয়া ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ নাছির (৫৫) ও তার ভাতিজা বাহার উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আনাচ আরিয়ান (১৪)। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবুল ফয়েজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, আরিয়ানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। নাছির নগরীর একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা ও তার ভাতিজা আরিয়ান চুয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সাথে গ্রামের বাড়ি আসেন আরিয়ান। সোমবার দুপুরে চাচা ভাতিজা পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় চাচা নাছির ভাতিজাকে সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে সাঁতরিয়ে পুকুরে মাঝে চলে যায় আরিয়ান। আরিয়ান ডুবে যাচ্ছে দেখে চাচা তাকে উদ্ধার করতে দ্রুত সাঁতরিয়ে তার কাছে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে চাচাও সাঁতরিয়ে আর কূলে উঠতে পারেনি। এতে পুকুরে ডুবে চাচা–ভাতিজা দুইজনেরই মৃত্যু হয়। কিছুক্ষণ পর পানিতে তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

 

 

রাঙ্গুনিয়ায় পরিবারের সাথে বেড়াতে এসেছিলো দুই শিশু। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কোদালা সুলতানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ঘাট দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে তারা। এ সময় সবার অজান্তে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু দুটি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশু কন্যাটির লাশ পাওয়া যায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকায়। পরের দিন বুধবার বিকালে কর্ণফুলী নদীর কোদালা চা বাগান সংলগ্ন ব্রিকফিল্ড বালুরটাল এলাকায় উদ্ধার হয় অপর শিশু।

 

উদ্ধার শিশু কন্যার নাম আরিফা আক্তার (১১)। সে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আইডব্লিও কলোনির আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। অপর শিশুর নাম মোহাম্মদ ইমন (৬)। সে চট্টগ্রাম ষোলশহর এলাকার মো. ফোরকানের ছেলে। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. শাহজাহান কামাল জানান, পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে লাশগুলো বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এদিকে কর্ণফুলী নদীর কাপ্তাই অংশে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন নকুল কুমার মল্লীক (৫০) নামে এক জেলে। দু’দিন ধরে তাকে অনেক খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে নিখোঁজের দু’দিন পর কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া অংশ থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তার বাড়ি কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কেপিএম কয়লার ডিপু এলাকায়।

লোহাগাড়ায় ইটভাটার পুকুরে ডুবে মোহাম্মদ তানজিম (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বার আউলিয়া ব্রিকস নামক এক ইটভাটার পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। শিশু তানজিম একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মীর পাড়ার মৌলানা কাইছারের পুত্র।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশু তানজিম স্থানীয় একটি হেফজখানার শিক্ষার্থী। ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে আসে। ঘটনারদিন দুপুরে এলাকার তার সহপাঠীদের সাথে ফুটবল খেলতে বের হয়। খেলার এক পর্যায়ে ফুটবল ইটভাটার পুকুরে পড়ে যায়। পুকুরে নেমে ফুটবল আনতে গিয়ে শিশু তানজিম পানিতে ডুবে যায়। পরে তার সহপাঠীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

 

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পার্থ জানান, রাতে পুকুরের পানিতে ডুবে যাওয়া এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সাতকানিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১১ বছরের এক শিশু মারা গেছে। তার নাম মোহাম্মদ ইমরাজ। সোমবার দুপুরে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু ওই এলাকার প্রবাসী আহামদ হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি নূরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

 

ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদ ইমরাজসহ এলাকার ২ শিশু গত সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ৪শ গজ দূরের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। ঘাট থেকে পুকুরের পানিতে নেমে গোসল করার এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইমরাজ পানির মধ্যে ডুবে যায়। পরে ইমরাজের সঙ্গে থাকা শিশুটি বাড়িতে এসে ইমরাজের পানিতে ডুবে যাওয়ার খবরটি স্বজনদের জানায়। এরপর স্বজন ও প্রতিবেশীরা ওই পুকুরের পানিতে নেমে ডুবন্ত অবস্থায় ইমরাজকে উদ্ধার করেন।

আনোয়ারায় পুকুরে ডুবে মোছাম্মৎ মাহিরা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের পূর্ব পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই এলাকার মুহাম্মদ মোরশেদের কন্যা।

 

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে মাহিরা বাড়ির উঠানে বের হয়ে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা মাহিরাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে। আনোয়ারা হাসপাতালে নেওযার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মীরসরাইয়ে পুকুরে ডুবে সালাহ উদ্দিন (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ হাইতকান্দি এলাকার কাঠগড়িয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালাহ উদ্দিন ওই বাড়ির জহির উদ্দিনের ছেলে। সে সাহেরখালী হাবিবিয়া দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

 

সালাহ উদ্দিনের মামা ইমাম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমে দূরে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় সে। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে তার নিথর দেহ ভেসে ওঠে।

 

হাইতকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুদ হোসেন বলেন, এভাবে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া মর্মান্তিক। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।