ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

জামিনে-মুক্ত ছেলে বললেন, ‘র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি’

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে (৫০) হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) জামিনে গতকাল বুধবার মুক্ত হয়েছেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি দাবি করেন, ‘র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি। মাকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথাও বলিনি।’

 

 

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শাহজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করলে সন্ধ্যার পর বগুড়া জেলা কারাগার থেকে বের হন সাদ বিন আজিজুর। এ সময় কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা আজিজুর রহমান ও বড় ভাই নাজমুস সাকিব।

 

 

বুধবার রাতে সাদ বলেন, ‘আমি হত্যার কথা স্বীকার করেছি, গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা র‍্যাব কেন বলেছে, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।’

 

সাদের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আমার ভেতরে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সেটা কাউকে বুঝাতে পারব না। এই শোকের মাঝেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আমার ছোট ছেলেকে আটক করে র‌্যাব। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত।’

 

 

১০ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের একটি চারতলা বাড়ির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে সালমার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। তারা ভবনটির মালিক। সালমাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ঘটনার পরের দিন তাদের ছোট ছেলে সাদকে আটক করে র‍্যাব।

 

ওই দিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের তৎকালীন অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান দাবি করেন, হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সাদ। পরে পুলিশ তদন্তে ভিন্ন তথ্য পেয়ে সালমাদের বাসার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা, সুমন রবিদাস ও মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

জামিনে-মুক্ত ছেলে বললেন, ‘র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি’

প্রকাশিত: ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে (৫০) হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) জামিনে গতকাল বুধবার মুক্ত হয়েছেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি দাবি করেন, ‘র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি। মাকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথাও বলিনি।’

 

 

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শাহজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করলে সন্ধ্যার পর বগুড়া জেলা কারাগার থেকে বের হন সাদ বিন আজিজুর। এ সময় কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা আজিজুর রহমান ও বড় ভাই নাজমুস সাকিব।

 

 

বুধবার রাতে সাদ বলেন, ‘আমি হত্যার কথা স্বীকার করেছি, গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা র‍্যাব কেন বলেছে, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।’

 

সাদের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আমার ভেতরে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সেটা কাউকে বুঝাতে পারব না। এই শোকের মাঝেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আমার ছোট ছেলেকে আটক করে র‌্যাব। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত।’

 

 

১০ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের একটি চারতলা বাড়ির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে সালমার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। তারা ভবনটির মালিক। সালমাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ঘটনার পরের দিন তাদের ছোট ছেলে সাদকে আটক করে র‍্যাব।

 

ওই দিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের তৎকালীন অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান দাবি করেন, হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সাদ। পরে পুলিশ তদন্তে ভিন্ন তথ্য পেয়ে সালমাদের বাসার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা, সুমন রবিদাস ও মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।