ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
রাতে ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা চাঁদপুরে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশানোর কারনে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সামান্য ঘটনায় ছাত্রদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ, বহিষ্কার হলো দুই শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

‘পদত্যাগ না করলে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না’

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বলেছেন, ‘প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মণ্ডল অতিসত্বর পদত্যাগ না করলে তাকে আর বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না’।

সোমবার সকালে বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।

মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থক হওয়ায় গত সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ঘনিষ্ঠ সহচর মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টুকে সভাপতি করে নিয়োগ বাণিজ্য করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য করতে এলাকার সাজু মিয়ার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে দাতা সদস্য না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। মো. মাহাবুর রহমানের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুস নিয়ে তাকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই সভাপতির যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের জমিতে ৫টি ঘর নির্মাণ করে সেসব ঘর বরাদ্দ দিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া অফিস সহায়ক মো. আল আমিন, আয়া মোছা. রাবেয়া বেগম ও ঝাড়ুদার বুলবুলিকে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধনে আরও বলেন, বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান অত্যন্ত নিম্নগামী হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার সন্তোষজনক নয়। গত এসএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৪০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে।

মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন- তাজুল ইসলাম, একেএম ফজলুল হক, মো. সাজু মিয়া, জাকিরুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সাদা মিয়া, জিয়াউর রহমান, নয়া মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে বলেন, অতিসত্বর পদত্যাগ করুন, অন্যথায় আর আপনাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

জনপ্রিয়

রাতে ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা

‘পদত্যাগ না করলে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না’

প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বলেছেন, ‘প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মণ্ডল অতিসত্বর পদত্যাগ না করলে তাকে আর বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না’।

সোমবার সকালে বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।

মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থক হওয়ায় গত সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ঘনিষ্ঠ সহচর মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টুকে সভাপতি করে নিয়োগ বাণিজ্য করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য করতে এলাকার সাজু মিয়ার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে দাতা সদস্য না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। মো. মাহাবুর রহমানের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুস নিয়ে তাকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই সভাপতির যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের জমিতে ৫টি ঘর নির্মাণ করে সেসব ঘর বরাদ্দ দিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া অফিস সহায়ক মো. আল আমিন, আয়া মোছা. রাবেয়া বেগম ও ঝাড়ুদার বুলবুলিকে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধনে আরও বলেন, বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান অত্যন্ত নিম্নগামী হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার সন্তোষজনক নয়। গত এসএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৪০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে।

মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন- তাজুল ইসলাম, একেএম ফজলুল হক, মো. সাজু মিয়া, জাকিরুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সাদা মিয়া, জিয়াউর রহমান, নয়া মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে বলেন, অতিসত্বর পদত্যাগ করুন, অন্যথায় আর আপনাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।