বিমান বাহিনী যেকোনো সময় মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সর্বদা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
সোমবার (৫ মে) ঢাকার তেজগাঁওয়ে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের ফ্যালকন হলে বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ওই সেমিনার শেষে বিমান বাহিনী প্রধান ফ্লাইট সেফটি ট্রফি বিতরণ করেন। সেমিনারে ২০২৪ সালের বিমান উড্ডয়নের কার্যক্রম এবং উড্ডয়ন সংক্রান্ত সকল ঘটনার বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, বিমান বাহিনী সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম এবং পেশাদারিত্বের ফলে ২৩ হাজার ২৬ ঘণ্টা নিরাপদ উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে; যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কার্যক্রমের সাফল্য এবং নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাসান মাহমুদ খাঁন সেমিনারের মূল উদ্দেশ্যের প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন, এই সেমিনার বিমান বাহিনীর অভিজ্ঞ সদস্যদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি মূল্যবান প্লাটফর্ম; যা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উড্ডয়ন নিরাপত্তা উন্নয়নে সহায়তা করে।
বিমান বাহিনী প্রধান উপস্থিত সকল এয়ারক্রু, টেকনিশিয়ান, কন্ট্রোলারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিবিড় তত্ত্বাবধান বাড়ানোর পাশাপাশি অতীত অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যবহারিক জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ও উড্ডয়ন নিরাপত্তা প্রক্রিয়াসমূহ কঠোরভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতিসংঘ মিশন রোটেশন ফ্লাইট, যুক্তরাজ্য এবং চেক রিপাবলিকের জন্য ফেরি ফ্লাইট, র্যাপেলিং এবং ফাস্ট রোপিং, প্যারা ট্রুপিং, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য মেডিকেল ইভাকুয়েশন, বিভিন্ন ভিভিআইপি ফ্লাইট, পুনরুদ্ধার এবং ফেনী বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে।
এ সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারকে ‘আন্তঃঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ এবং ৫ নং বহরকে ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জনের জন্য ‘আন্তঃবহর খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া এ বছর সেরা বিমান প্রকৌশল বহর হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক বিমান প্রকৌশল বহরকে ‘বেষ্ট এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং স্কোয়াড্রন ট্রফি’ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিসমূহের মনোনীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমানসেনারা উপস্থিত ছিলেন।