ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানভিত্তিক স্বাধীনতাকামী লস্কর-ই-তৈয়বার দুই সন্দেহভাজন সদস্য আদিল হোসেন ঠোকের ও আসিফ শেখের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে গেছে বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।
এ দুজনই পেহেলগামে মঙ্গলবারের পর্যটক হামলায় জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ি দুটি পৃথক বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়, বলেছে এনডিটিভি।২২ এপ্রিলের পর্যটক হামলায় ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে স্বাধানতাকামী চারজন যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা। একজনের নাম আদিল গুরে ও অন্যজনের নাম আসিফ শেখ। আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ধারণা করা হচ্ছে বাড়িগুলোর ভেতরে বিস্ফোরক রাখা ছিল।
তবে আনন্দবাজারসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনই এই বাড়ি দুটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে একটি স্বয়ংক্রিয় বিস্ফোরকের সাহায্যে ওড়ানো হয়েছে, অন্যটি গুঁড়ানো হয়েছে বুলডোজারে।বৃহস্পতিবার অনন্তনাগের পুলিশ পেহেলগামে হামলায় জড়িতসন্দেহে যে তিনজনের স্কেচ প্রকাশ করেছে আদিল তার একজন। বাকি দুজনই পাকিস্তানের নাগরিক, বলছে পুলিশ। এদের ধরতে তথ্য চেয়ে ২০ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া নোটিসে পুলিশ হামলাকারী বাকি দুই সন্দেহভাজনের নাম বলেছে- হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই। এরা দুজনও স্বাধীনতাকামী লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ খ্যাত পেহেলগামের বৈসরণে মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনের ওপর কাশ্মীরে এমন প্রাণঘাতী হামলা আর দেখা যায়নি।
নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক সূত্র আদিলকে মঙ্গলবারের পেহেলগাম হামলার অন্যতম অভিযুক্ত বলছে, তার বাড়ি অনন্তনাগ জেলায়। আর পুলওয়ামার বাসিন্দা আসিফ হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।