আবেদনের ৭ বছর পর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দলটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে ‘রকেট’; দলটির নিবন্ধন নম্বর ৫৫।
আদালতের আদেশে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিএমজেপি দলের প্রেসিডেন্ট সুকৃতি কুমার মণ্ডলের কাছে নিবন্ধন সনদ তুলে দেন ইসির এই সিনিয়র সচিব।
বিএমজেপির সুকৃতি কুমার বলেন, “২০১৮ সালে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিলাম। বিশেষ কারণে নিবন্ধন ওই সময় পাইনি৷ বাছাইয়ে আমরা ছিলাম। দুইটি দলকে দেয়। আমরা প্রতিবাদ জানাই।”
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে সরকার পতনের পর আদালতে রিট করে দলটি।
সুকৃতি কুমার বলেন, “আজকে কাঙ্খিত নিবন্ধন সনদ পেলাম। আজ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ৫৪ বছরে আমরা রাজনীতির স্বাদ গ্রহণ করতে চাচ্ছি। তিন কোটির মতো মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। এখন আমরা রাজনীতি করার অধিকার পেলাম। আমরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সমর্থন আছে। আমাদের প্রতীক রকেট।”
বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ২০১৭ সালে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও বাছাই পর্বও পার হতে পারেনি। পরে এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয় দলটি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিতে ইসিকে নির্দেশ দেন হাই কোর্ট।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর আদালতের আদেশে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির পর বিএমজেপি নিবন্ধন পেল।
এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
ফলে দেশের এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়।
জাগপাও ফিরেছে:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপাকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়ে দলটি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করে। নিবন্ধন বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সে বছরই হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন দলটির সভাপতি তাসমিয়া প্রধান।
গেল মার্চে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার আদেশ দেয় আদালত।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল:
https://www.ecs.gov.bd/page/political-parties
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনে মার্চে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসি, ২০ এপ্রিলের মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।