ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত কারাগারে নববর্ষ, তবু হাস্যোজ্জ্বল শাজাহান খান বললেন: ‘বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি’ দেশ-বিদেশে এস আলম গ্রুপের আরও জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান গাইবান্ধায় পরিত্যক্ত কুপে মিলল অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের অর্ধগলিত লাশ নেত্রকোনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানি গ্রেফতার নোয়াখালীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ জারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির আবেদন শুরু সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন: পাঁচটিতে বাদ পড়েছে নজরুল ইসলাম বাবুর নাম ‘প্রো-বাংলাদেশ’ নীতিই অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার: প্রেস সচিব

১৬ এপ্রিলের বৈঠকে নির্ধারিত হতে পারে নির্বাচনের ভবিষ্যৎ: ডিসেম্বরেই ভোট চায় বিএনপি ও মিত্ররা

রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এর সময়সূচি। নির্বাচনকালীন সরকারের অবস্থান ও রোডম্যাপ জানতে বৈঠকটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি ও তার মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো।

সূত্র বলছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায়। দলটির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, দ্রুত নির্বাচনই দেশকে স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারে। নির্বাচিত সরকার বড় ধরনের সংস্কারে হাত দিতে পারবে এবং জনগণের ভাষা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আর এই দাবির ভিত্তিতেই ১৬ এপ্রিলের বৈঠকে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান জানতে চাওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি জুন ২০২৬ পর্যন্ত সময়সীমার কথা বলেছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

একই কথা বলেন বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ, বিএনপি ও মিত্র দলগুলো ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট চায়।”

১৬ এপ্রিলের বৈঠকে নির্বাচনকালীন সময়সীমা, সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকের পরদিন সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আরও একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে বিএনপির। এসব আলোচনা শেষে সরকারের অবস্থান দেখে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে দলটি।

এদিকে, নির্বাচনকালীন সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া একাধিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রথমে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হলেও পরে তা সংশোধন করে বলা হয়—ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। বিএনপি এটিকে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যদি পরিষ্কার রোডম্যাপ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিরোধী দলগুলো আন্দোলনের পথে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ১৬ এপ্রিলের বৈঠক রাজনৈতিক সমঝোতা ও স্থিতিশীলতার পথে কোনো আলোর দিশা দেখাতে পারে কিনা।

জনপ্রিয়

আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত

১৬ এপ্রিলের বৈঠকে নির্ধারিত হতে পারে নির্বাচনের ভবিষ্যৎ: ডিসেম্বরেই ভোট চায় বিএনপি ও মিত্ররা

প্রকাশিত: ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এর সময়সূচি। নির্বাচনকালীন সরকারের অবস্থান ও রোডম্যাপ জানতে বৈঠকটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি ও তার মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো।

সূত্র বলছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায়। দলটির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, দ্রুত নির্বাচনই দেশকে স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারে। নির্বাচিত সরকার বড় ধরনের সংস্কারে হাত দিতে পারবে এবং জনগণের ভাষা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আর এই দাবির ভিত্তিতেই ১৬ এপ্রিলের বৈঠকে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান জানতে চাওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি জুন ২০২৬ পর্যন্ত সময়সীমার কথা বলেছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

একই কথা বলেন বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ, বিএনপি ও মিত্র দলগুলো ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট চায়।”

১৬ এপ্রিলের বৈঠকে নির্বাচনকালীন সময়সীমা, সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকের পরদিন সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আরও একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে বিএনপির। এসব আলোচনা শেষে সরকারের অবস্থান দেখে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে দলটি।

এদিকে, নির্বাচনকালীন সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া একাধিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রথমে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হলেও পরে তা সংশোধন করে বলা হয়—ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। বিএনপি এটিকে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যদি পরিষ্কার রোডম্যাপ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিরোধী দলগুলো আন্দোলনের পথে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ১৬ এপ্রিলের বৈঠক রাজনৈতিক সমঝোতা ও স্থিতিশীলতার পথে কোনো আলোর দিশা দেখাতে পারে কিনা।