কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আড়াই বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে মামাতো ভাই ও তার সহযোগীরা। অপহরণের ১৬ ঘণ্টা পর বুধবার ভোরে অপহরণের শিকার শিশুকে উদ্ধারের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়াদের দু’জন কিশোর। তাদের একজন শিশুটির মামাতো ভাই। আরেকজন নুর উদ্দিন (৩৭), বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
অপহরণের শিকার শিশুটির নাম আজাদ। সে উপজেলার চাতল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সোহেল মিয়া ও কল্পনা আক্তারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে আটক কিশোর। দুপুরে সে আজাদকে নিয়ে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। বিকেলে ওই কিশোর মামার বাড়িতে ফিরে এলেও তার সঙ্গে শিশু আজাদ ফেরেনি। এ সময় আজাদের মা কল্পনা আক্তার তার ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই কিশোর ঠিকঠাক কোনো উত্তর দিচ্ছিল না।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অপরিচিত একটি মোবাইল ফোন থেকে শিশুটির মা কল্পনা আক্তারের কাছে কল আসে। তখন ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি জানিয়ে কল্পনা আক্তার কটিয়াদী মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় শিশুটির মামাতো ভাইসহ তিনজনকে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। এ সময় সন্দেহজনক মনে হয় শিশুটির মামাতো ভাইকে। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অপহরণের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের নগুয়া এলাকা থেকে শিশু আজাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেখান থেকে আটক করা হয় আরও দুজনকে। বুধবার দুপুরে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।