ঢাকা , রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

বেড়াতে এসে মামাতো ভাইকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আড়াই বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে মামাতো ভাই ও তার সহযোগীরা। অপহরণের ১৬ ঘণ্টা পর বুধবার ভোরে অপহরণের শিকার শিশুকে উদ্ধারের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়াদের দু’জন কিশোর। তাদের একজন শিশুটির মামাতো ভাই। আরেকজন নুর উদ্দিন (৩৭), বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

অপহরণের শিকার শিশুটির নাম আজাদ। সে উপজেলার চাতল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সোহেল মিয়া ও কল্পনা আক্তারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে আটক কিশোর। দুপুরে সে আজাদকে নিয়ে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। বিকেলে ওই কিশোর মামার বাড়িতে ফিরে এলেও তার সঙ্গে শিশু আজাদ ফেরেনি। এ সময় আজাদের মা কল্পনা আক্তার তার ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই কিশোর ঠিকঠাক কোনো উত্তর দিচ্ছিল না।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অপরিচিত একটি মোবাইল ফোন থেকে শিশুটির মা কল্পনা আক্তারের কাছে কল আসে। তখন ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি জানিয়ে কল্পনা আক্তার কটিয়াদী মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় শিশুটির মামাতো ভাইসহ তিনজনকে।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। এ সময় সন্দেহজনক মনে হয় শিশুটির মামাতো ভাইকে। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অপহরণের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের নগুয়া এলাকা থেকে শিশু আজাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেখান থেকে আটক করা হয় আরও দুজনকে। বুধবার দুপুরে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

বেড়াতে এসে মামাতো ভাইকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আড়াই বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে মামাতো ভাই ও তার সহযোগীরা। অপহরণের ১৬ ঘণ্টা পর বুধবার ভোরে অপহরণের শিকার শিশুকে উদ্ধারের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়াদের দু’জন কিশোর। তাদের একজন শিশুটির মামাতো ভাই। আরেকজন নুর উদ্দিন (৩৭), বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

অপহরণের শিকার শিশুটির নাম আজাদ। সে উপজেলার চাতল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সোহেল মিয়া ও কল্পনা আক্তারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে আটক কিশোর। দুপুরে সে আজাদকে নিয়ে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। বিকেলে ওই কিশোর মামার বাড়িতে ফিরে এলেও তার সঙ্গে শিশু আজাদ ফেরেনি। এ সময় আজাদের মা কল্পনা আক্তার তার ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই কিশোর ঠিকঠাক কোনো উত্তর দিচ্ছিল না।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অপরিচিত একটি মোবাইল ফোন থেকে শিশুটির মা কল্পনা আক্তারের কাছে কল আসে। তখন ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি জানিয়ে কল্পনা আক্তার কটিয়াদী মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় শিশুটির মামাতো ভাইসহ তিনজনকে।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। এ সময় সন্দেহজনক মনে হয় শিশুটির মামাতো ভাইকে। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অপহরণের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের নগুয়া এলাকা থেকে শিশু আজাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেখান থেকে আটক করা হয় আরও দুজনকে। বুধবার দুপুরে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।