ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রংপুরে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে শামীম নামে এক যুবক প্রেমের সম্পর্ক গড়েন দিনাজপুরের এক গৃহবধূর সঙ্গে। পরে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে তিন বন্ধু মিলে রংপুরের হারাগাছের এক গ্রামের নির্জন ভুট্টাখেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর মেট্রোপলিটন আমলি আদালত-১ এর বিচারক শোয়েবুর রহমানের কাছে শামীম ও সিয়াম বাবু নামের দুই আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি মমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, গ্রেফতাররা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর আন্ধারীঝার হারেটকুঠি এলাকায় আব্দুল মজিদের ছেলে শামীম হোসেন (২৩), রংপুর মহানগরীর হারাগাছের উদয় নারায়ণ মাছহারি এলাকার এজাহারুল ইসলামের ছেলে আজম আলী (১৯) এবং ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়ার মৃত মাহফুজুর রহমানের ছেলে সিয়াব বাবু ওরফে বানিয়া বাবু (২৬)।

পুলিশ জানায়, আসামিরা ঘটনার পর ওই নারীর কাছে গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় শামীম ও আজম আলীকে নারায়ণগঞ্জ সদরের একটি কলকারখানার পাশে আল মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে এবং সিয়াম বাবুকে হারাগাছের ধুমেরকুঠি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, ৫ মার্চ দুপুরে হারাগাছের  ধুমেরকুঠি এলাকায় একটি ভুট্টাখেতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন তিন ব্যক্তি। ওই গৃহবধূর বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার ফরিদপুরে।

তিনি জানান, তার মোবাইল ফোনে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে গ্রেফতার শামীম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাকে বিয়ে করে ঘর-সংসার করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই হিসেবে স্বামীর গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা নিয়ে ওই গৃহবধূ শামীমের কাছে রংপুরের সাহেবগঞ্জে আসেন। সেখান থেকে শামীম, আজম এবং বাবু তাকে নিজের গ্রামের ওই ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণের পর টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ২ জনকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সহযোগিতায় রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর শনিবার রাতে তাদের আদালতে তোলা হয়। এর মধ্যে শামীম ও সিয়াম বাবু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।

জনপ্রিয়

গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে

রংপুরে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে শামীম নামে এক যুবক প্রেমের সম্পর্ক গড়েন দিনাজপুরের এক গৃহবধূর সঙ্গে। পরে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে তিন বন্ধু মিলে রংপুরের হারাগাছের এক গ্রামের নির্জন ভুট্টাখেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর মেট্রোপলিটন আমলি আদালত-১ এর বিচারক শোয়েবুর রহমানের কাছে শামীম ও সিয়াম বাবু নামের দুই আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি মমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, গ্রেফতাররা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর আন্ধারীঝার হারেটকুঠি এলাকায় আব্দুল মজিদের ছেলে শামীম হোসেন (২৩), রংপুর মহানগরীর হারাগাছের উদয় নারায়ণ মাছহারি এলাকার এজাহারুল ইসলামের ছেলে আজম আলী (১৯) এবং ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়ার মৃত মাহফুজুর রহমানের ছেলে সিয়াব বাবু ওরফে বানিয়া বাবু (২৬)।

পুলিশ জানায়, আসামিরা ঘটনার পর ওই নারীর কাছে গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় শামীম ও আজম আলীকে নারায়ণগঞ্জ সদরের একটি কলকারখানার পাশে আল মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে এবং সিয়াম বাবুকে হারাগাছের ধুমেরকুঠি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, ৫ মার্চ দুপুরে হারাগাছের  ধুমেরকুঠি এলাকায় একটি ভুট্টাখেতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন তিন ব্যক্তি। ওই গৃহবধূর বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার ফরিদপুরে।

তিনি জানান, তার মোবাইল ফোনে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে গ্রেফতার শামীম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাকে বিয়ে করে ঘর-সংসার করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই হিসেবে স্বামীর গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা নিয়ে ওই গৃহবধূ শামীমের কাছে রংপুরের সাহেবগঞ্জে আসেন। সেখান থেকে শামীম, আজম এবং বাবু তাকে নিজের গ্রামের ওই ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণের পর টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ২ জনকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সহযোগিতায় রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর শনিবার রাতে তাদের আদালতে তোলা হয়। এর মধ্যে শামীম ও সিয়াম বাবু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।