ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল ৪৪তম থেকে ৪৭তম বিসিএস: পিএসসির নতুন সময়সূচি প্রকাশ শেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু “জুলাই-আগস্টে ঢাকায় আওয়ামী লীগের মৃত্যু, দাফন দিল্লিতে” — সালাহউদ্দিন আহমেদ কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর খবর গুজব, তিনি সুস্থ আছেন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার ‘আপন কফি হাউজ’-এর সামনের মারধরের ঘটনায় তরুণীর খোঁজ মেলেনি, মামলা পুলিশের

সীমান্তে বসানো সিসি ক্যামেরা সরিয়েছে বিএসএফ, মসজিদের স্থাপনা নির্মাণও বন্ধ!

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্যরেখা সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশের দিকে তাক করে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাটি অপসারণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ক্যামেরাটি অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে বিএসএফের অনুরোধে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য বিজিবি ওই এলাকায় বাড়তি টহল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিজিবি কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএসএফের ১৬২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর সাব পিলার ৯ এর কাছে একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে, যা বাংলাদেশের দিকে তাক করেছিল। এই স্থাপনা নিয়ে বিজিবি শক্তভাবে আপত্তি জানায়।

বিএসএফ জানিয়েছিল যে, সিসি ক্যামেরাটি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঐতিহ্যবাহী ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ (জোড়া মসজিদ) এর পাকা কাজ নিয়ে নিরাপত্তা আশঙ্কা থেকে স্থাপন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হলেও, কোনো সমাধান না হওয়ায় পরদিন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে আবার পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফ ক্যামেরা অপসারণে সম্মত হয় এবং সীমান্ত আইন নিশ্চিত করতে ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় বিজিবি।

এছাড়া, ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদটি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এবং এটি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মিলিত নামাজ আদায়ের জায়গা। কিছু বছর আগে, উভয় দেশের নাগরিকরা মসজিদটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিলেও বিএসএফ সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কায় তাতে আপত্তি জানায়। এরপরও, বিএসএফের দাবি, স্থানীয়রা গোপনে রাতে মসজিদটি পাকাকরণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল, এবং টিনের বেড়া দিয়ে নির্মাণ কাজের আড়াল করা হয়েছিল। এই কারণে সিসি ক্যামেরাটি স্থাপন করা হয়েছিল।

জনপ্রিয়

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সীমান্তে বসানো সিসি ক্যামেরা সরিয়েছে বিএসএফ, মসজিদের স্থাপনা নির্মাণও বন্ধ!

প্রকাশিত: ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্যরেখা সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশের দিকে তাক করে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাটি অপসারণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ক্যামেরাটি অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে বিএসএফের অনুরোধে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য বিজিবি ওই এলাকায় বাড়তি টহল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিজিবি কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএসএফের ১৬২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর সাব পিলার ৯ এর কাছে একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে, যা বাংলাদেশের দিকে তাক করেছিল। এই স্থাপনা নিয়ে বিজিবি শক্তভাবে আপত্তি জানায়।

বিএসএফ জানিয়েছিল যে, সিসি ক্যামেরাটি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঐতিহ্যবাহী ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ (জোড়া মসজিদ) এর পাকা কাজ নিয়ে নিরাপত্তা আশঙ্কা থেকে স্থাপন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হলেও, কোনো সমাধান না হওয়ায় পরদিন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে আবার পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফ ক্যামেরা অপসারণে সম্মত হয় এবং সীমান্ত আইন নিশ্চিত করতে ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় বিজিবি।

এছাড়া, ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদটি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এবং এটি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মিলিত নামাজ আদায়ের জায়গা। কিছু বছর আগে, উভয় দেশের নাগরিকরা মসজিদটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিলেও বিএসএফ সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কায় তাতে আপত্তি জানায়। এরপরও, বিএসএফের দাবি, স্থানীয়রা গোপনে রাতে মসজিদটি পাকাকরণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল, এবং টিনের বেড়া দিয়ে নির্মাণ কাজের আড়াল করা হয়েছিল। এই কারণে সিসি ক্যামেরাটি স্থাপন করা হয়েছিল।