ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ রাতে লিচু খাওয়া: উপকারিতা ও সতর্কতা

সীমান্তে বসানো সিসি ক্যামেরা সরিয়েছে বিএসএফ, মসজিদের স্থাপনা নির্মাণও বন্ধ!

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্যরেখা সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশের দিকে তাক করে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাটি অপসারণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ক্যামেরাটি অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে বিএসএফের অনুরোধে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য বিজিবি ওই এলাকায় বাড়তি টহল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিজিবি কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএসএফের ১৬২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর সাব পিলার ৯ এর কাছে একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে, যা বাংলাদেশের দিকে তাক করেছিল। এই স্থাপনা নিয়ে বিজিবি শক্তভাবে আপত্তি জানায়।

বিএসএফ জানিয়েছিল যে, সিসি ক্যামেরাটি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঐতিহ্যবাহী ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ (জোড়া মসজিদ) এর পাকা কাজ নিয়ে নিরাপত্তা আশঙ্কা থেকে স্থাপন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হলেও, কোনো সমাধান না হওয়ায় পরদিন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে আবার পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফ ক্যামেরা অপসারণে সম্মত হয় এবং সীমান্ত আইন নিশ্চিত করতে ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় বিজিবি।

এছাড়া, ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদটি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এবং এটি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মিলিত নামাজ আদায়ের জায়গা। কিছু বছর আগে, উভয় দেশের নাগরিকরা মসজিদটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিলেও বিএসএফ সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কায় তাতে আপত্তি জানায়। এরপরও, বিএসএফের দাবি, স্থানীয়রা গোপনে রাতে মসজিদটি পাকাকরণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল, এবং টিনের বেড়া দিয়ে নির্মাণ কাজের আড়াল করা হয়েছিল। এই কারণে সিসি ক্যামেরাটি স্থাপন করা হয়েছিল।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী

সীমান্তে বসানো সিসি ক্যামেরা সরিয়েছে বিএসএফ, মসজিদের স্থাপনা নির্মাণও বন্ধ!

প্রকাশিত: ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্যরেখা সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশের দিকে তাক করে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাটি অপসারণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ক্যামেরাটি অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে বিএসএফের অনুরোধে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য বিজিবি ওই এলাকায় বাড়তি টহল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিজিবি কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএসএফের ১৬২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর সাব পিলার ৯ এর কাছে একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে, যা বাংলাদেশের দিকে তাক করেছিল। এই স্থাপনা নিয়ে বিজিবি শক্তভাবে আপত্তি জানায়।

বিএসএফ জানিয়েছিল যে, সিসি ক্যামেরাটি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঐতিহ্যবাহী ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ (জোড়া মসজিদ) এর পাকা কাজ নিয়ে নিরাপত্তা আশঙ্কা থেকে স্থাপন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হলেও, কোনো সমাধান না হওয়ায় পরদিন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে আবার পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফ ক্যামেরা অপসারণে সম্মত হয় এবং সীমান্ত আইন নিশ্চিত করতে ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় বিজিবি।

এছাড়া, ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদটি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এবং এটি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মিলিত নামাজ আদায়ের জায়গা। কিছু বছর আগে, উভয় দেশের নাগরিকরা মসজিদটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিলেও বিএসএফ সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কায় তাতে আপত্তি জানায়। এরপরও, বিএসএফের দাবি, স্থানীয়রা গোপনে রাতে মসজিদটি পাকাকরণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল, এবং টিনের বেড়া দিয়ে নির্মাণ কাজের আড়াল করা হয়েছিল। এই কারণে সিসি ক্যামেরাটি স্থাপন করা হয়েছিল।