ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
গাইবান্ধায় নিখোঁজের দুই দিন পর জলাশয়ে মিলল বৃদ্ধের মরদেহ জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ

ভারতের ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’-এর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের কড়া হুঁশিয়ারি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত স্থিতিশীলতা ব্যাহতকারী ভারতের কথিত ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’-এর বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। শুক্রবার (৩০ মে) কোয়েটায় কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ সফরের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর (ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স)।

সফরে তিনি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে ভারতের ভূমিকার অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হয়েছে এবং জাতি এই যুদ্ধকে সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

সেনাপ্রধান আসিম মুনির অভিযোগ করেন, ভারত কৌশলগতভাবে পানির উৎস এবং প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে পাকিস্তানের কৃষি ও জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে বিবেচিত। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা যে কোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত এবং সংঘাতের পুরো পরিসরে হুমকির মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখি।”

তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীর আমাদের আত্মার অংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সমাধান প্রয়োজন।”

তিনি ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “মারকা-এ-হক-এর সফলতা আমাদের জাতীয় সংকল্প এবং সকল জাতীয় শক্তির সমন্বয়ের প্রতিচ্ছবি।”

 

হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ কী?
‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’ বলতে বোঝায় এমন কর্মকাণ্ড যেখানে পানির প্রবাহ, নদী বা জলসম্পদকে রাজনৈতিক বা সামরিক চাপ প্রয়োগের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি অনুসারে নদীর পানিবণ্টনের নিয়ম রয়েছে।

পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারত সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে ড্যাম নির্মাণ, পানির প্রবাহ আটকে রাখা, এবং জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের কৌশলগত ভাষ্য কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় পানি-রাজনীতিকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় নিখোঁজের দুই দিন পর জলাশয়ে মিলল বৃদ্ধের মরদেহ

ভারতের ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’-এর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের কড়া হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত স্থিতিশীলতা ব্যাহতকারী ভারতের কথিত ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’-এর বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। শুক্রবার (৩০ মে) কোয়েটায় কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ সফরের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর (ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স)।

সফরে তিনি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে ভারতের ভূমিকার অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হয়েছে এবং জাতি এই যুদ্ধকে সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

সেনাপ্রধান আসিম মুনির অভিযোগ করেন, ভারত কৌশলগতভাবে পানির উৎস এবং প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে পাকিস্তানের কৃষি ও জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা ‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে বিবেচিত। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা যে কোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত এবং সংঘাতের পুরো পরিসরে হুমকির মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখি।”

তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীর আমাদের আত্মার অংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সমাধান প্রয়োজন।”

তিনি ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “মারকা-এ-হক-এর সফলতা আমাদের জাতীয় সংকল্প এবং সকল জাতীয় শক্তির সমন্বয়ের প্রতিচ্ছবি।”

 

হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ কী?
‘হাইড্রো সন্ত্রাসবাদ’ বলতে বোঝায় এমন কর্মকাণ্ড যেখানে পানির প্রবাহ, নদী বা জলসম্পদকে রাজনৈতিক বা সামরিক চাপ প্রয়োগের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি অনুসারে নদীর পানিবণ্টনের নিয়ম রয়েছে।

পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারত সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে ড্যাম নির্মাণ, পানির প্রবাহ আটকে রাখা, এবং জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের কৌশলগত ভাষ্য কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় পানি-রাজনীতিকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।