লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ১০ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. শাকিলকে (১০)। অপহরণের একদিন পর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই এলাকার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা মুক্তিপণের জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল, কিন্তু টাকা না পাওয়ায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে।
শাকিল ফকিরটারী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মা জয়নব বেগম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। সোমবার দুপুরে শাকিলকে অপহরণ করা হয় এবং এরপর অপহরণকারীরা তার মাকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় রাতেই পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানায়, এরপর তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশ অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাকিলের প্রতিবেশী সহিদুল ও তার ছেলে সোহানকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, সহিদুলের বাড়ির পাশের একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের নিচ থেকে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ সহিদুলের স্ত্রী সাহানাকেও আটক করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. নুরনবী বলেন, “আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।”