সূচকের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে চাঙাভাবেই। তবে এর মধ্যেও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা বা ০.৩৩ শতাংশ।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকায়। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩.৯৩ পয়েন্ট বা ০.২৭ শতাংশ। তবে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৩.২১ পয়েন্ট (০.৬৯%) এবং ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৪.৮৫ পয়েন্ট (০.৪২%)।
লেনদেনের দিক থেকে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২,৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮০৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১৯.৭৯ শতাংশ বেশি।
ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ২৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এও সূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সিএএসপিআই সূচক কমেছে ০.২১% এবং সিএসসিএক্স ০.০৯% কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৪,৫০৯.৩৭ ও ৮,৮৩৪.১৭ পয়েন্টে।
সিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সিএসইতে ৩১৮টি কোম্পানির লেনদেনের মধ্যে ১৩১টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
বাজারে সূচকের মিশ্র আচরণ এবং লেনদেন বৃদ্ধির এই প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা এবং আশাবাদের মিশ্র আবহ তৈরি করেছে।