ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক হিন্দুত্ববাদী স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম কিশোরকে মারধর বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের হায়দারাবাদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করল অন্তবর্তী সরকারের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কাশ্মীরে আরও দুই যুবকের সম্পদ জব্দ করলো ভারতীয় পুলিশ চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

ঢাকা বায়ুদূষণে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে, শীর্ষে লাহোর

 বিশ্বে বায়ুদূষণের তীব্রতায় আজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ১২৪টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৭৩, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আইকিউ এয়ার, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান, নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি উপস্থাপন করে থাকে। তাদের প্রকাশিত মানসূচক অনুযায়ী, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে বায়ুকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা ঢাকার বর্তমান অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

বিশ্ব বায়ুদূষণ তালিকায় ঢাকার পরে, পাকিস্তানের লাহোর ২১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (২০৫ পয়েন্ট), তৃতীয় স্থানে ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯৮ পয়েন্ট), এবং চতুর্থ স্থানে নেপালের কাঠমান্ডু (১৮৪ পয়েন্ট) রয়েছে।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হল অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (PM 2.5)। আজ সকালে ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশিকা মান থেকে ১৮ গুণ বেশি। এটি শারীরিক অসুস্থতা, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের জন্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, বায়ুদূষণের মান যদি ১০১ থেকে ১৫০ থাকে, তবে এটি সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ঢাকার বর্তমান বায়ু মান এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, যেখানে নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পরিবেশবিদরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে শ্বাসযন্ত্রের রোগ ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানো যায়।

এদিকে, পরিবেশদূষণ কমানোর জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিবহন ব্যবস্থায় নবায়ন ও শিল্পকারখানাগুলোর নির্গমন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ু পরিস্কার করার দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

জনপ্রিয়

কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক

ঢাকা বায়ুদূষণে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে, শীর্ষে লাহোর

প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

 বিশ্বে বায়ুদূষণের তীব্রতায় আজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ১২৪টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৭৩, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আইকিউ এয়ার, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান, নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি উপস্থাপন করে থাকে। তাদের প্রকাশিত মানসূচক অনুযায়ী, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে বায়ুকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা ঢাকার বর্তমান অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

বিশ্ব বায়ুদূষণ তালিকায় ঢাকার পরে, পাকিস্তানের লাহোর ২১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (২০৫ পয়েন্ট), তৃতীয় স্থানে ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯৮ পয়েন্ট), এবং চতুর্থ স্থানে নেপালের কাঠমান্ডু (১৮৪ পয়েন্ট) রয়েছে।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হল অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (PM 2.5)। আজ সকালে ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশিকা মান থেকে ১৮ গুণ বেশি। এটি শারীরিক অসুস্থতা, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের জন্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, বায়ুদূষণের মান যদি ১০১ থেকে ১৫০ থাকে, তবে এটি সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ঢাকার বর্তমান বায়ু মান এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, যেখানে নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পরিবেশবিদরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে শ্বাসযন্ত্রের রোগ ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানো যায়।

এদিকে, পরিবেশদূষণ কমানোর জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিবহন ব্যবস্থায় নবায়ন ও শিল্পকারখানাগুলোর নির্গমন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ু পরিস্কার করার দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।