বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) একটি আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটি এ তথ্যকে ‘অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক এ দাবি জানায়।
বেবিচকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানসংক্রান্ত একটি সংস্থার নাম উল্লেখ করে কিছু ‘মনগড়া এবং ভিত্তিহীন’ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা সংস্থাটির নজরে এসেছে। বেবিচকের যেকোনো সিদ্ধান্ত বোর্ড মিটিং এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যালোচনা সাপেক্ষে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি এবং যেকোনো সংস্থাপন বেবিচকের সবার অনুমোদন ছাড়া করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সংস্থায় কর্মরত একটি স্বার্থান্বেষী মহল বহিরাগত কিছু অসাধু চক্রের প্ররোচনায় মদদপুষ্ট হয়ে বেবিচকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং বিমানবন্দরগুলোর চলমান অগ্রগতিকে অস্থিতিশীল ও বাধাগ্রস্ত করতে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে সংস্থাটির কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বেবিচকের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগ, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা বিভাগের (এভসেক) ৩ হাজার ৪৯২ জনসহ সর্বমোট ৫ হাজার ১১২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, বেবিচকের আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সোমবার সিভিল এভিয়েশনের সামনে একদল মানুষের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তবে বেবিচক এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।