গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের গাড়ি থেকে জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে নাটোরের সিংড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এ আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একটি ব্যক্তিগত গাড়ি তল্লাশি করেন। গাড়ির পেছনের ডালায় বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেন।ছাবিউল ইসলাম দাবি করেন, টাকাটি তাঁর জমি বিক্রির টাকা। তবে তিনি এর সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। পুলিশ ওই টাকা ও গাড়িটি জব্দ করে এবং ছাবিউল ইসলামকে শর্তসাপেক্ষে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আদালত জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। টাকার বৈধতা নিরূপণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন পাঠানো হয়েছে। দুদকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি দাবি করেন, টাকাটি তাঁর জমি বিক্রির টাকা এবং তিনি রাজশাহীতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ জানান, ছাবিউল ইসলাম টাকার বৈধতা প্রমাণ করতে পারেননি, তাই দুদকে তদন্তের জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় এলজিইডির একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, টাকাটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে এবং দুদকের তদন্তের মাধ্যমে টাকার উৎস ও বৈধতা যাচাই করা হবে। এই ঘটনায় দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি ও তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।