এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার তার নাম বাদ দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ৮টা ২২ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে ওসমানীর নাম বাদ দেয়ার কারণ উল্লেখ করেছে।
প্রেস উইং জানায়, এম এ জি ওসমানীকে ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিকভাবে এই বছর তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু যেহেতু কোনো বাংলাদেশি একাধিকবার দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার নজির নেই, তাই তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২৫ সালে ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেবে সরকার। এদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর নামও ছিল। স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় তার নামসহ গত ৬ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যেখানে এম এ জি ওসমানীর নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যের ক্ষেত্রে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।