জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অস্বাভাবিক অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং তাঁর স্ত্রী হাসিনা গাজীর নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা দুটি হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি এবং সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নামে মামলায় ২৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ২৫৭ কোটি ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, গোলাম দস্তগীর গাজীর নামে ৪৪৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, যার মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্য আয় ৪২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অন্য মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজীর বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫১৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন, ভোগদখল এবং অস্বাভাবিক লেনদেনে সহযোগিতার অভিযোগে এ মামলায় তাঁর স্বামী গোলাম দস্তগীরকেও আসামি করা হয়েছে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে ঢাকায় গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের দল ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন তিনি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত ২৫ আগস্ট ঢাকার শান্তিনগর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় স্কুলছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় গোলাম দস্তগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।