দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পটপরিবর্তনের পর থেকে বিগত সরকারের সময় দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সম্পদ জব্দে তৎপর রয়েছে। গত ছয় মাসে দেশে থাকা ১০ হাজার ৩১০ কোটি টাকার সম্পদ ও বিদেশে থাকা ১৬৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছে সংস্থাটি। যদিও বিদেশে সম্পদ জব্দ বাস্তবে কতটুকু প্রতিফলন ঘটছে, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বিগত সরকারের সময় সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার পাশাপাশি আদালতের মাধ্যমে সম্পদ জব্দের নির্দেশনা পাচ্ছে দুদক। গত ছয় মাসে ৭৪টি আদেশে দেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর ১০ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ও বিদেশে থাকা ১৬৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম মনে করেন, বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ আদতে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।
খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানে আক্তারুজ্জামানের ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ১৬ হাজার ১৪১ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা করা হয়।’
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাবেক কাউন্সিলর ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।