ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

মেয়াদোত্তীর্ণ কেক নিয়ে সমন্বয়ক-ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারামারি

জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ী ও সমন্বয়কদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে ও শনিবার ভোরে উপজেলার খালকুলায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সমন্বয়কদের মধ্যে মারামারিতে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মারধর করে চার সমন্বয়ককে আটক করে রাখার অভিযোগও উঠেছে। এ সময় একটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সমন্বয়কদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত সমন্বয়করা হলেন– বড়াইগ্রাম উপজেলার আতিকুর রহমান, নুহ হোসেন, হাবিবুর রহমান, নাটোর সদরের আবদুলাহ আল নোমান, হাবিব হোসেন, আমিনুর রহমান ও ছোট হাবিব। তাড়াশে আহত ব্যবসায়ীরা হলেন– মো. সাইদুর রহমান ও ফিরোজ হোসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বড়াইগ্রাম থেকে সমন্বয়করা সাতটি বাসে প্রায় ২৫০ জন লোক নিয়ে ঢাকায় এনসিপির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে দুটি বাসের কয়েকজন সমন্বয়ক তাড়াশের খালকুলায় নাশতা করতে নামেন। এ সময় সাইদুর রহমান নামে দোকানি মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি করেন। সমন্বয়করা প্রতিবাদ জানালে তিনি একজনের হাতে রড দিয়ে আঘাত করেন।

এ নিয়ে তারা ধাক্কাধাক্কি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে তিনজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের শান্ত করলে সমন্বয়করা ঢাকায় চলে যান। শনিবার ভোরে অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে কয়েকজন সমন্বয়ক একই স্থানে নাশতা করতে যান। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও লোকজন তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারিতে জড়ান।

এতে সেখানকার আশা হোটেলে ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন ও সাইদুর রহমান এবং সমন্বয়ক আবদুলাহ আল নোমান, হাবিব হোসেন, আমিনুর রহমান এবং ছোট হাবিব আহত হন। এ সময় ব্যবসায়ীরা চারজনকে হোটেলে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

নাটোর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ মিম বলেন, খালকুলার ব্যবসায়ীরা কয়েকজন সমন্বয়ককে মারধর করেছেন। তিনজনের মাথা ফেটে গেছে। আশা হোটেলের ম্যানেজার ফিরোজ হোসেনের ভাষ্য, তুচ্ছ ঘটনায় তাদের মারধর ও দোকান ভাঙচুর করেছে।

তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল ইসলাম বলেন, সমন্বয়ক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা তাড়াশের সমন্বয়কদের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

মেয়াদোত্তীর্ণ কেক নিয়ে সমন্বয়ক-ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারামারি

প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ী ও সমন্বয়কদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে ও শনিবার ভোরে উপজেলার খালকুলায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সমন্বয়কদের মধ্যে মারামারিতে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মারধর করে চার সমন্বয়ককে আটক করে রাখার অভিযোগও উঠেছে। এ সময় একটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সমন্বয়কদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত সমন্বয়করা হলেন– বড়াইগ্রাম উপজেলার আতিকুর রহমান, নুহ হোসেন, হাবিবুর রহমান, নাটোর সদরের আবদুলাহ আল নোমান, হাবিব হোসেন, আমিনুর রহমান ও ছোট হাবিব। তাড়াশে আহত ব্যবসায়ীরা হলেন– মো. সাইদুর রহমান ও ফিরোজ হোসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বড়াইগ্রাম থেকে সমন্বয়করা সাতটি বাসে প্রায় ২৫০ জন লোক নিয়ে ঢাকায় এনসিপির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে দুটি বাসের কয়েকজন সমন্বয়ক তাড়াশের খালকুলায় নাশতা করতে নামেন। এ সময় সাইদুর রহমান নামে দোকানি মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি করেন। সমন্বয়করা প্রতিবাদ জানালে তিনি একজনের হাতে রড দিয়ে আঘাত করেন।

এ নিয়ে তারা ধাক্কাধাক্কি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে তিনজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের শান্ত করলে সমন্বয়করা ঢাকায় চলে যান। শনিবার ভোরে অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে কয়েকজন সমন্বয়ক একই স্থানে নাশতা করতে যান। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও লোকজন তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারিতে জড়ান।

এতে সেখানকার আশা হোটেলে ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন ও সাইদুর রহমান এবং সমন্বয়ক আবদুলাহ আল নোমান, হাবিব হোসেন, আমিনুর রহমান এবং ছোট হাবিব আহত হন। এ সময় ব্যবসায়ীরা চারজনকে হোটেলে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

নাটোর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ মিম বলেন, খালকুলার ব্যবসায়ীরা কয়েকজন সমন্বয়ককে মারধর করেছেন। তিনজনের মাথা ফেটে গেছে। আশা হোটেলের ম্যানেজার ফিরোজ হোসেনের ভাষ্য, তুচ্ছ ঘটনায় তাদের মারধর ও দোকান ভাঙচুর করেছে।

তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল ইসলাম বলেন, সমন্বয়ক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা তাড়াশের সমন্বয়কদের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে।