ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর জানাজায় মানুষের ঢল

ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়ার পাঁচ মাস পর রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হিজবুল্লাহর নিহত নেতা হাসান নাসরুল্লাহর আনুষ্ঠানিক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৈরুতে হাজার হাজার মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন। নাসরুল্লাহর জানাজা হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ শহরতলির একটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হিজবুল্লাহর পতাকা এবং নাসরুল্লাহর ছবি হাতে সমর্থকদের দেখা যায়।

হাসান নাসরুল্লাহ ইসরাইলের সাথে কয়েক দশকের সংঘাতের মধ্যে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এই গোষ্ঠীকে আঞ্চলিক প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিলেন।রোববার ভোরে ক্যামিল চামুন স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে নাসরুল্লাহ এবং হিজবুল্লাহর অন্যান্য নিহত নেতাদের গণ-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।জানাজায় হাজার হাজার সমর্থক অংশ নেন এবং নাসরুল্লাহর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।নাসরুল্লাহকে তার ছেলে হাদির পাশে অস্থায়ীভাবে সমাহিত করা হয়, যিনি ১৯৯৭ সালে হিজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে মারা যান।

গত বছর ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ নেতৃত্ব এবং হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হন। এই গণ-জানাজা হিজবুল্লাহর শক্তি প্রদর্শনের একটি উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দেন হাশেম সাফিউদ্দিন, যিনি নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণার আগেই ইসরাইলি হামলায় নিহত হন।মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির শর্তে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের কারণে নাসরুল্লাহর আনুষ্ঠানিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিলম্বিত করা হয়েছিল।

নাসরুল্লাহকে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিমানবন্দর সড়কের কাছে এক টুকরো জমিতে সমাহিত করা হবে।হাশেম সাফিউদ্দিনকে দক্ষিণ লেবাননের দেইর কানুন এন-নাহরে তার নিজ শহরে দাফন করা হবে।

এই ঘটনা হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নাসরুল্লাহর মৃত্যু এবং তার জানাজা হিজবুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর জানাজায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়ার পাঁচ মাস পর রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হিজবুল্লাহর নিহত নেতা হাসান নাসরুল্লাহর আনুষ্ঠানিক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৈরুতে হাজার হাজার মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন। নাসরুল্লাহর জানাজা হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ শহরতলির একটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হিজবুল্লাহর পতাকা এবং নাসরুল্লাহর ছবি হাতে সমর্থকদের দেখা যায়।

হাসান নাসরুল্লাহ ইসরাইলের সাথে কয়েক দশকের সংঘাতের মধ্যে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এই গোষ্ঠীকে আঞ্চলিক প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিলেন।রোববার ভোরে ক্যামিল চামুন স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে নাসরুল্লাহ এবং হিজবুল্লাহর অন্যান্য নিহত নেতাদের গণ-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।জানাজায় হাজার হাজার সমর্থক অংশ নেন এবং নাসরুল্লাহর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।নাসরুল্লাহকে তার ছেলে হাদির পাশে অস্থায়ীভাবে সমাহিত করা হয়, যিনি ১৯৯৭ সালে হিজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে মারা যান।

গত বছর ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ নেতৃত্ব এবং হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হন। এই গণ-জানাজা হিজবুল্লাহর শক্তি প্রদর্শনের একটি উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দেন হাশেম সাফিউদ্দিন, যিনি নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণার আগেই ইসরাইলি হামলায় নিহত হন।মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির শর্তে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের কারণে নাসরুল্লাহর আনুষ্ঠানিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিলম্বিত করা হয়েছিল।

নাসরুল্লাহকে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিমানবন্দর সড়কের কাছে এক টুকরো জমিতে সমাহিত করা হবে।হাশেম সাফিউদ্দিনকে দক্ষিণ লেবাননের দেইর কানুন এন-নাহরে তার নিজ শহরে দাফন করা হবে।

এই ঘটনা হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নাসরুল্লাহর মৃত্যু এবং তার জানাজা হিজবুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে।