ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি

কুয়েতে বাংলাদেশী শ্রমিক ভিসার জন্য সুখবর!

কুয়েতে গৃহকর্মী বা একক শ্রমিক ভিসা সত্যায়নের ক্ষেত্রে মালিককে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশি কর্মীদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস।

কুয়েত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে একটি। দেশটির উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ অনুমতি বা ‘লামানা’ প্রয়োজন হয়, যা ভিসার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছু অসাধু দালাল এই সুযোগ নিয়ে ভিসার দাম আকাশচুম্বী করে রেখেছে।

এছাড়া, কিছু দালালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে অনেক প্রবাসী অবৈধ ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসেন, যা তাদেরকে আর্থিক ও আইনি সমস্যায় ফেলে। এতে কুয়েতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং কর্মীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, একক ভিসা সত্যায়নের আবেদন শুধু কুয়েতি মালিক বা স্পন্সর (কফিল) দ্বারা দূতাবাসে জমা দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপকে প্রবাসীরা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এতে কফিল বা স্পন্সর খোঁজা সহজ হবে এবং তাদের দায়বদ্ধতা বাড়বে। এছাড়া জাল ভিসার প্রভাবও কমবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দূতাবাসের সত্যায়ন বাধ্যতামূলক করা হলে ভিসা জালিয়াতি কমবে এবং প্রবাসীরা আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন।

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

কুয়েতে বাংলাদেশী শ্রমিক ভিসার জন্য সুখবর!

প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুয়েতে গৃহকর্মী বা একক শ্রমিক ভিসা সত্যায়নের ক্ষেত্রে মালিককে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশি কর্মীদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস।

কুয়েত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে একটি। দেশটির উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ অনুমতি বা ‘লামানা’ প্রয়োজন হয়, যা ভিসার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছু অসাধু দালাল এই সুযোগ নিয়ে ভিসার দাম আকাশচুম্বী করে রেখেছে।

এছাড়া, কিছু দালালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে অনেক প্রবাসী অবৈধ ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসেন, যা তাদেরকে আর্থিক ও আইনি সমস্যায় ফেলে। এতে কুয়েতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং কর্মীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, একক ভিসা সত্যায়নের আবেদন শুধু কুয়েতি মালিক বা স্পন্সর (কফিল) দ্বারা দূতাবাসে জমা দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপকে প্রবাসীরা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এতে কফিল বা স্পন্সর খোঁজা সহজ হবে এবং তাদের দায়বদ্ধতা বাড়বে। এছাড়া জাল ভিসার প্রভাবও কমবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দূতাবাসের সত্যায়ন বাধ্যতামূলক করা হলে ভিসা জালিয়াতি কমবে এবং প্রবাসীরা আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন।