কুয়েতে গৃহকর্মী বা একক শ্রমিক ভিসা সত্যায়নের ক্ষেত্রে মালিককে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশি কর্মীদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস।
কুয়েত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে একটি। দেশটির উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ অনুমতি বা ‘লামানা’ প্রয়োজন হয়, যা ভিসার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছু অসাধু দালাল এই সুযোগ নিয়ে ভিসার দাম আকাশচুম্বী করে রেখেছে।
এছাড়া, কিছু দালালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে অনেক প্রবাসী অবৈধ ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসেন, যা তাদেরকে আর্থিক ও আইনি সমস্যায় ফেলে। এতে কুয়েতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং কর্মীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, একক ভিসা সত্যায়নের আবেদন শুধু কুয়েতি মালিক বা স্পন্সর (কফিল) দ্বারা দূতাবাসে জমা দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপকে প্রবাসীরা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এতে কফিল বা স্পন্সর খোঁজা সহজ হবে এবং তাদের দায়বদ্ধতা বাড়বে। এছাড়া জাল ভিসার প্রভাবও কমবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দূতাবাসের সত্যায়ন বাধ্যতামূলক করা হলে ভিসা জালিয়াতি কমবে এবং প্রবাসীরা আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন।