ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি

অন্তর্বর্তী সরকার ভাষাগত বৈচিত্র্য নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে : পররাষ্ট্র সচিব

পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য, সমান সুযোগ নিশ্চিত করে এবং সব ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করে এ আদর্শগুলোকে সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার বহুভাষার প্রচার, বিপন্ন ভাষা সংরক্ষণ এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের বিপ্লব এবং তরুণদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সাংস্কৃতিক শোষণসহ সব ধরনের বৈষম্য দূর করার এক অনন্য সুযোগ দিয়েছে। একটি উন্নত বাংলাদেশের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই ঐতিহাসিক দিনে আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

এম জসীম উদ্দিন বলেন, এ দিনটি সারা বিশ্বে আমাদের সবার জন্য একটি শুভ মুহূর্ত নিয়ে আসে। প্রতিটি সংস্কৃতিতে পরিচিত এবং অজানা ব্যক্তিদের স্মরণ করার জন্য, পৃথিবীর প্রতিটি কোণে বসবাসকারী প্রতিটি জাতিসত্তা যারা অগণিত উপায়ে অবদান এবং ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং তাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা এবং সমুন্নত রাখার জন্য সংগ্রাম করেছে। একই সময়ে, আমাদের জাতীয় পরিচয় নির্বিশেষে, আমরা একটি সার্বজনীন মানবজাতির সদস্য হিসেবে, আমরা এখন যে সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় বিশ্বে বাস করি তার জন্য সেই অজ্ঞাত নায়কদের কাছে চিরকাল ঋণী থাকা উচিত।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের ডিন মজিদ হালিম বলেন, বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন, আমরা তাদের স্মরণ করি। ভাষা সবাইকে সংযুক্ত করে, তাই প্রতিটি ভাষাকেই রক্ষা করতে হবে।

ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর সুজন ভাইস বলেন, বাংলাদেশ মাতৃভাষা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তাই বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বের অন্যান্য ভাষার মতো বাংলা ভাষাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব ভাষার বিকাশ প্রত্যাশা করি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক ইকবাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রামাণ্য চিত্র, দেশি-বিদেশিদের অংশগ্রহণে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে দেশি বিদেশি কূটনীতিকরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন।

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

অন্তর্বর্তী সরকার ভাষাগত বৈচিত্র্য নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে : পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশিত: ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য, সমান সুযোগ নিশ্চিত করে এবং সব ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করে এ আদর্শগুলোকে সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার বহুভাষার প্রচার, বিপন্ন ভাষা সংরক্ষণ এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের বিপ্লব এবং তরুণদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সাংস্কৃতিক শোষণসহ সব ধরনের বৈষম্য দূর করার এক অনন্য সুযোগ দিয়েছে। একটি উন্নত বাংলাদেশের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই ঐতিহাসিক দিনে আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

এম জসীম উদ্দিন বলেন, এ দিনটি সারা বিশ্বে আমাদের সবার জন্য একটি শুভ মুহূর্ত নিয়ে আসে। প্রতিটি সংস্কৃতিতে পরিচিত এবং অজানা ব্যক্তিদের স্মরণ করার জন্য, পৃথিবীর প্রতিটি কোণে বসবাসকারী প্রতিটি জাতিসত্তা যারা অগণিত উপায়ে অবদান এবং ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং তাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা এবং সমুন্নত রাখার জন্য সংগ্রাম করেছে। একই সময়ে, আমাদের জাতীয় পরিচয় নির্বিশেষে, আমরা একটি সার্বজনীন মানবজাতির সদস্য হিসেবে, আমরা এখন যে সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় বিশ্বে বাস করি তার জন্য সেই অজ্ঞাত নায়কদের কাছে চিরকাল ঋণী থাকা উচিত।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের ডিন মজিদ হালিম বলেন, বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন, আমরা তাদের স্মরণ করি। ভাষা সবাইকে সংযুক্ত করে, তাই প্রতিটি ভাষাকেই রক্ষা করতে হবে।

ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর সুজন ভাইস বলেন, বাংলাদেশ মাতৃভাষা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তাই বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বের অন্যান্য ভাষার মতো বাংলা ভাষাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব ভাষার বিকাশ প্রত্যাশা করি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক ইকবাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রামাণ্য চিত্র, দেশি-বিদেশিদের অংশগ্রহণে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে দেশি বিদেশি কূটনীতিকরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন।