নকিয়া প্রথমবারের মতো চাঁদে ৪জি সেলুলার নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। চলতি মাসের শেষে ইনটুইটিভ মেশিনসের একটি মিশনের মাধ্যমে এই প্রযুক্তি চাঁদে পাঠানো হবে।
এখন পর্যন্ত মহাকাশ যোগাযোগ ছিল পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট রেডিও প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল, যা সীমিত ডেটা আদান-প্রদানের সুযোগ দিত। তবে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে ২০২৮ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের চাঁদে ফেরত পাঠানো এবং ২০৩০-এর দশকে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা রয়েছে। এই কারণে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
নাসার সহযোগিতায় নকিয়া বিশেষভাবে তৈরি করেছে ‘নেটওয়ার্ক ইন আ বক্স’ প্রযুক্তি, যা চাঁদের কঠিন পরিবেশ সহ্য করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি ল্যান্ডার ও যানবাহনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে, যদিও এটি আপাতত কয়েক দিনের জন্য কার্যকর থাকবে।
ভবিষ্যতে, আরও উন্নত ৪জি বা ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা মহাকাশচারীদের বসবাসযোগ্য স্টেশন ও এক্সিওম স্যুটে সংযুক্ত হবে। তবে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন, কারণ চাঁদে সেলুলার নেটওয়ার্ক টেলিস্কোপ পর্যবেক্ষণে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে নকিয়া ইতোমধ্যে বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে, যাতে চাঁদের ৪জি নেটওয়ার্ক পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
এটি মহাকাশ যোগাযোগের নতুন যুগের সূচনা হতে পারে, যা ভবিষ্যতের চাঁদ এবং অন্যান্য মহাকাশ মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।