চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং অবরুদ্ধ অঞ্চল থেকে ইসরাইলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। সংগঠনটির মুখপাত্র হাজেম কাসেম এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। কাসেম আরো জানান, ‘হামাসকে অপসারণ ও নিরস্ত্রীকরণের যে শর্ত ইসরায়েল দিয়েছে তা কেবল এক হাস্যকর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।’
এদিকে হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের পরিবর্তে শনিবার তিন জনের বদলে ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা। চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য হামাস একদিন আগেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে কাসেম বলেন এদিকে হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের পরিবর্তে শনিবার তিন জনের বদলে ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা। চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য হামাস একদিন আগেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে কাসেম বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে তারা মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মি সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। যা প্রমাণ করে তারা যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে সক্ষম হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতি সপ্তাহে ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির বিরুদ্ধে মন্তব্য এবং গাজায় অবশিষ্ট বন্দিদের পরিবার তাদের সকলকে একসাথে মুক্তি দেয়ার দাবি জানানোর পর হামাস এই প্রস্তাব উত্থাপন করে।
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ১৯ জানুয়ারি। আল জাজিরার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল বিভিন্ন সময়ে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েলের নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আলোচনা করেছেন এবং নেতানিয়াহুর ক্যাবিনেটের চরম-ডানপন্থী মন্ত্রীরা সামরিক দখলদারিত্বের জন্যও জোর দিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ১,১৩৫ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। এ সপ্তাহে আরো ৫০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। অপরদিকে মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরাইলী জিম্মির সংখ্যা এ পর্যন্ত মোট ২৫।