ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি

তিস্তা ‌মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নই ‘সমাধান’

প্রতিবছর তিস্তা অববাহিকায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে, বদলে যাবে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন।

প্রতি বছর ৪০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত, উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে দারিদ্র্য।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বহুদিন ধরে ভারতের হস্তক্ষেপে আটকে ছিল, তবে জুলাই বিপ্লবের পর আশায় বুক বেঁধেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলছেন, “এক বছর অপেক্ষা করুন, আপনাদের মতামত ছাড়াই কোনো পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে না।”

১৩ হাজার ১১৬ কোটি টাকার জমি উদ্ধার, বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা, স্যাটেলাইট টাউন, সড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্মসংস্থান ১০ লাখ মানুষের—এসবই সম্ভব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে।

তিস্তা বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, “মহাপরিকল্পনা হলে নদীভাঙন থেকে মুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”

তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “আমরা চাই ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান, তিস্তা যেন দুঃখের নদী না হয়ে ভালোবাসার নদী হয়।”

উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের স্বার্থে স্থায়ী সমাধান একটাই—তিস্তা মহাপরিকল্পনা।

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

তিস্তা ‌মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নই ‘সমাধান’

প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রতিবছর তিস্তা অববাহিকায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে, বদলে যাবে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন।

প্রতি বছর ৪০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত, উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে দারিদ্র্য।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বহুদিন ধরে ভারতের হস্তক্ষেপে আটকে ছিল, তবে জুলাই বিপ্লবের পর আশায় বুক বেঁধেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলছেন, “এক বছর অপেক্ষা করুন, আপনাদের মতামত ছাড়াই কোনো পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে না।”

১৩ হাজার ১১৬ কোটি টাকার জমি উদ্ধার, বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা, স্যাটেলাইট টাউন, সড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্মসংস্থান ১০ লাখ মানুষের—এসবই সম্ভব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে।

তিস্তা বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, “মহাপরিকল্পনা হলে নদীভাঙন থেকে মুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”

তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “আমরা চাই ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান, তিস্তা যেন দুঃখের নদী না হয়ে ভালোবাসার নদী হয়।”

উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের স্বার্থে স্থায়ী সমাধান একটাই—তিস্তা মহাপরিকল্পনা।